জাহালমকে কারা জেল খাটাল, দেখতে চান হাইকোর্ট

Looks like you've blocked notifications!

২৬ মামলায় ভুল আসামি হিসেবে বিনা দোষে জাহালমের তিন বছর জেল খাটার পেছনে কারা জড়িত, তা দেখবেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে জাহালমের জেল খাটার পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ মামলার ফাইল না আসায় শুনানির জন্য আগামী ২ মে পরবর্তী দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। এ সময় বিনা দোষে জেল খাটা জাহালমও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সকালে এ মামলার শুনানি শুরু হলে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সময় চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আদালত দেখেন এ মামলার ফাইল আসেনি। 

তখন আদালত বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল আজকে ফাইল আসবে এবং আমরা শুনানি করতে পারব। কিন্তু ফাইল তো আসেনি। এ সময় আদালত দুদকের আইনজীবীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সব নথি দাখিল করতে বলেন।’

এ ছাড়া জাহালমের জেল খাটার পেছনে কারা জড়িত, সেই তদন্ত রিপোর্টও দাখিলের নির্দেশ দিয়ে আগামী ২ মে দিন ঠিক করে দেন আদালত।

গত ১০ এপ্রিল ভুল আসামি হয়ে ২৬ মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া জাহালমকে দেখতে চান হাইকোর্ট। আদালত তাঁকে ১৭ এপ্রিল উপস্থিত থাকতে বলেন।

হাইকোর্টে নজরে আনা এ মামলার আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত বলেন, ‘জাহালম এখন কেমন আছেন ও কেমন জীবনযাপন করছেন, তা আদালতে এসে বলতে বলা হয়েছে।’

এর আগে গত ৬ মার্চ জাহালমকে ২৬ মামলায় ভুল আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিলের যাবতীয় নথি তলব করেন হাইকোর্ট। গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে ২৬ মামলায় অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। তবে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরো সাত মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়ায় ওসব মামলায় তাঁর অব্যাহতির বিষয়ে আদেশ দেননি আদালত। যার ফলে কারামুক্তি পান জাহালম।

গত ২৮ জানুয়ারি ২৬ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে থাকার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।

দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্র সচিবের একজন প্রতিনিধি ও আইন সচিবের একজন প্রতিনিধিকে উপস্থিত থেকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে’ ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত।