অলি আহমদ বললেন

খালেদা জিয়া কখনো নিজের সুবিধার্থে আপস করবেন না

Looks like you've blocked notifications!
এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। পুরোনো ছবি : এনটিভি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কখনো নিজের সুবিধার জন্য কারো সঙ্গে আপস করবেন না বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

বুধবার বিকেলে রাজধানী ডিওএইচএসের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অলি আহমদ। বলেন, খালেদা  জিয়াকে যত দূর জানি বা চিনি, আমার থেকে তাঁকে বেশি কেউ জানে না। রাজনৈতিক, পারিবারিক, সামাজিকভাবে আমি যেভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলাম, এভাবে বিএনপির আর কেউ ছিল না। তিনি কখনো নিজের সুবিধার জন্য কারো সঙ্গে আপস করবেন না।

খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিনিময়ে বিএনপির এমপিদের সংসদে যাওয়ার একটা কথাবার্তা হচ্ছে। এ বিষয়ে অলি আহমদ বলেন, যদি এটা সত্য হয়ে থাকে তাহলে আমি মনে করি কেউ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বেগম জিয়াকে ব্লাকমেইল করছে। আমি মনে করি কেউ লোভের বশীভূত হয়ে তাঁকে ব্লাকমেইল করছে এবং বিএনপিকে বিপথগামী করছে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান বলেন, লোভ ও জাতির সঙ্গে বেঈমানি করা কোনো কাজে এলডিপি কখনো সমর্থন করবে না। ১৮ কোটি ভোটারের সঙ্গে বেঈমানি করে যদি সংসদে যায় সেটা আমি সমর্থন করব না। যদি তারা সংসদে যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি কী ব্যবস্থা নেবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

অলি আহমদ বলেন, আমি মনে করি যেখানে ১৬ কোটি নির্যাতিত হয়েছে জাতি-ধর্ম-দল নির্বিশেষ, তাদের সেই নির্যাতন, তাদের প্রতি যে অত্যাচার-অবিচার করা হয়েছে, তাদের অসম্মান করে সংসদে যাওয়াটা মানবিক, সামাজিক, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়। যে বা যারা যাবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

এলডিপির চেয়ারম্যান  বলেন, আমরা সবাই আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আল্লাহকে যারা বিশ্বাস করে না, তারা কাফের ও বেঈমান। খালেদা জিয়ার ভাগ্যে যা লেখা আছে তা কেউ খণ্ডাতে পারবে না।

অলি আহমদ বলেন, বেগম জিয়া আমার জানা মতে শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করেননি। যে বিষয়গুলোতে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তিনি সেগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে শাস্তি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নজনকে বাধ্য করা হয়েছে।

২০ দলীয় জোট নেতা বলেন, আমরা যারা ২০ দলে আছি, আমাদের চেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়িত্ব শত গুণ বেশি। বিএনপি দেশের সর্ব বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। তাদের সমর্থন দেশে ৬০ ভাগের ওপরে। এ অবস্থায় তারা এত অসহায় কেন আমার বোধগম্য নয়। আমি মিটিংয়ে বলেছি ১৬০/১৭০ জন সিনিয়র নেতা যদি আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নেমে আসেন, তাদের পেছনে লাখ লাখ কর্মী থাকবে। আমরা যদি মনে করি, কর্মীরা মাঠে থাকবে, আর আমরা ঘরে থাকব, তাহলে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না।

সারা দেশে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, সোনাগাজীর ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওই মেয়ের মা-বাবাকে ডেকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। আগামীতেও তাদের আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে আমি শুনেছি। এজন্য তাঁকে আমি এলডিপির পক্ষ থেকে দলের সভাপতি ও একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।