ভৈরবে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন বহিষ্কৃত যুবদলনেতা

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক  আল মামুন। তিনি এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

আল মামুন চাপকল প্রতীক নিয়ে ৪৫ হাজার ৫১ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন তালা চাবি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৭৭ ভোট। তবে মোশারফ হোসেন গত ১৫ এপ্রিল ভৈরব প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আজকের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

গত ২৪ মার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পরিষদের ৮২টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। জাল ভোট প্রদান, মারামারি ও গোলযোগের কারণে তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।  বুধবার শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওই তিন কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়। এগুলো হলো পৌর শহরের জগন্নাথপুর নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চণ্ডীবের হাজী আসমত সরকারি প্রাথমিক এবং  শ্রীনগর ইউনিয়নের বধূনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন উপলক্ষে ওই তিনটি কেন্দ্রে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।

আজকে স্থগিত তিন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ভোটে বহিষ্কৃত যুবদলনেতা আল মামুন পান এক হাজার ৪৭১ ভোট। আর আওয়ামী লীগনেতা মোশারফ হোসেন পান ২২ ভোট। এর মধ্যে শহরের চণ্ডীবের হাজী আসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আল মামুন পান ৫১২ ভোট, মোশারফ হোসেন পান চার ভোট। জগন্নাথপুর নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আল মামুন পান ৫৬৮ ভোট, মোশারফ পান সাত ভোট। বধূনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আল মামুন পান ৩৯১ ভোট। আর মোশারফ হোসেন পান ১১ ভোট।

এর আগে ২৪ মার্চ ৭৯টি কেন্দ্রে আল মামুন পেয়েছিলেন ৪৩ হাজার ৫৮০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোশারফ হোসেন পান ৩৯ হাজার ৩৫৫ ভোট। স্থগিত করা তিনটি কেন্দ্রের মোট ভোটার ছিল আট হাজার ৬৭৫ জন।

নির্বাচনে উপজেলা অওয়ামী লীগের সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুরকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নৌকা প্রতীকে সায়দুল্লাহ মিয়া পান ৬২ হাজার ৪৩২ ভোট। আর আবুল মনসুর মোটরসাইকেল প্রতীকে পান ৩১ হাজার ৩৫৭ ভোট।

অপরদিকে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আহমেদকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন মনোয়ারা বেগম। মনোয়ারা হাঁস প্রতীকে পান ৬২ হাজার ১৯৭ ভোট। আর আসমা পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে পান ৩৩ হাজার ২৪৯ ভোট।