‘অচিরেই বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী খাত হবে তথ্যপ্রযুক্তি’
তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের জন্য বিশ্বে বাংলাদেশ অনুকরণীয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘অচিরেই বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী খাত হবে তথ্যপ্রযুক্তি।’
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে চতুর্থ বিপিও সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন জয়।
অনুকরণ নয়, উদ্ভাবনে এগিয়ে আসতে দেশের বিপিও খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং-বিপিও খাতে কল সেন্টার, ডাটা এন্ট্রি, সফটওয়ার টেস্টিং, ওয়েব ডিজাইনসহ নানা কাজে কর্মরত আছে দেশের ৫০ হাজারের মতো মানুষ। তাই এই খাতকে এগিয়ে নিতে এবং বিদেশে বাজার তৈরি করতে আয়োজন করা হয় বিপিও সামিট-২০১৯।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় উল্লেখ করে তিনি আরো নতুন নতুন উদ্ভাবনে তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যাত্রায় আছি। এ যাত্রায় আমরা শিখছি। আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতার কারণে আজকে দেশ দ্রুত ডিজিটাল হচ্ছে।’
বর্তমানে দেশে ৫০ হাজারের মতো মানুষ বিপিও খাতে কর্মরত আছে উল্লেখ করে ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, আগামী দুই বছরের মধ্যে এই খাত থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করবে বাংলাদেশ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে যাদের বিপিওর সুযোগ সুবিধা নেওয়া সম্ভব তারা কিন্তু এখনো তেমনভাবে এগিয়ে আসেনি। আপনার সেবাকে ডিজিটাল করে আমাদের বিপিও খাত থেকে সেবা গ্রহণ করুন। তাহলে দেখতে পাবেন আপনি নিজে যেমন সাশ্রয় করতে পারছেন তেমনি লাখ লাখ ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছেন।’
'ট্রান্সফরমিং সার্ভিস টু ডিজিটাল' শিরোনামে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই বিপিও সামিটে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, ভারতসহ ৪০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। যেখানে রয়েছে আটটি সেমিনার, তিনটি গোলটেবিল আলোচনাসহ নানা আয়োজন।