মির্জা ফখরুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা আজ রোববার জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জেলা শাখার উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল আদালত প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জেলা শাখার সভাপতি, সাবেক পিপি ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েলের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শরীফ ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন মোতাবেক সরকারের পূর্ব অনুমতি ছাড়া এবং সরকারি দায়িত্বরত কেউ বাদী না হয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলাটি করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এবং ভিন্ন ভিন্ন তারিখে সংঘটিত হলেও এবং বাদী উক্ত ঘটনায় কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে।

গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আকরাম হোসেন বাদল বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ আবদুন নূরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ আবদুন নূর পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আরজিতে বাদী অভিযোগ করেন যে, আসামিরা একে অপরের সহযোগিতা ও প্ররোচণায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করে রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষতি সাধন করে আসছে।

গত ১ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ৪ এপ্রিল রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানোর হুমকি দেন। পুনরায় নির্বাচন না দিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুন দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে হুমকি দেন। এরপর থেকে আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এতে জনমনে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেন্টারে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।