প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে ধর্ষণ, তিনজনের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় প্রেমিককে বেঁধে কলেজছাত্রী প্রেমিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজনের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার পাঁচ আসামি বর্তমানে কারাগারে আছে। তাদের রিমান্ড শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার।
গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন হলেন সিংগাইর উপজেলার ইসলামনগর গ্রামের দিপু (১৯), নাজমুল (২১), ফজর আলী (১৮), শিপন খান (১৮) ও নোমাজ আলী (২০)। ধর্ষক সুজন দেওয়ান (২৮) ও সহযোগী চানু (২২) পলাতক রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, ওই কলেজছাত্রীকে তিন যুবক ধর্ষণ করেন। সেই দৃশ্য আবার মুঠোফোনে ভিডিও করেন তাঁদের সহযোগীরা। পুলিশ সেই ভিডিও উদ্ধার করেছে। দুই ধর্ষক ও তিন সহযোগীকে আটক করেছে। অন্য দুজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
ওসি জানান, মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভিকটিমের মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিম ও অভিযুক্ত দুই ধর্ষকের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার সেই রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলার কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে পাশের হরিরামপুর উপজেলার এক কলেজছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাতে ওই যুবক তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে সিংগাইরে যান। এ সময় এলাকার সাতজন বখাটে যুবক তাঁকে আটকে রাখেন এবং তাঁর মোবাইল ফোন থেকে ওই ছাত্রীকে বাড়ির বাইরে ডেকে আনে। পরে প্রেমিক যুগলের একাধিক ছবি তোলে।
একপর্যায়ে প্রেমিককে বেঁধে তিনজন প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেন। অন্য চারজন এই কাজে সহযোগিতা করেন। সেই সঙ্গে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে। পরদিন ভোর রাতে ওই যুবক তাঁর ভাইকে মোবাইল ফোনে বিস্তারিত জানান। এরপর জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। সিংগাইর থানা পুলিশ শনিবার সকালে ওই এলাকা থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাকে উদ্ধার করে এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, ধর্ষণের ভিডিও দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। পাঁচ আসামি বর্তমানে জেলহাজতে আছে। ভিকটিমকে তার পরিবারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।