অভিনেতা সালেহ আহমেদ আর নেই, বাদ মাগরিব দাফন
অভিনেতা সালেহ আহমেদ মারা গেছেন। আজ বুধবার দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অভিনেতা আহসানুল হক মিনু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহসানুল হক মিনু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ দুপুর ১২টায় আমি হাসপাতালে এসেছি। তখন বিছানায় শুয়ে ছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না, শরীরের মূল অর্গানগুলো ঠিকমতো কাজ করছিল না। দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটে ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
আজ বাদ মাগরিব দাফন জানিয়ে মিলু বলেন, ‘আজ বাদ মাগরিব উত্তরখান জামে মসজিদে জানাজা হবে। তার পর সেখানকার সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আহসানুল হক মিনু আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সালেহ। আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে কাজ করি। তা ছাড়া আমরা মামাতো-ফুফাতো ভাই। যে কারণে নিয়মিত আমাদের যোগাযোগ ছিল। প্রধানমন্ত্রী ২৫ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র দিয়েছিলেন। সেখানে থেকে প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকার মতো পাওয়া যেত, তবে তাঁর চিকিৎসার জন্য মাসে খরচ হতো ৩০ হাজারের বেশি। সেই হিসেবে চিকিৎসা করাতেও কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন, তিনি যেখানেই থাকুন যেন ভালো থাকেন।’
হুমায়ূন আহমেদের অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে নিজের স্থান করে নিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সালেহ আহমেদ। প্রায় পাঁচ বছর অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ৮৩ বছর বয়সী এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল।
নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে সালেহ আহমেদ গত দুই বছর বিছানায় শুয়ে কাটাচ্ছিলেন। ২০১১ সালে স্ট্রোকের পর থেকে তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন এই অভিনেতার পরিবারের সদস্যরা। জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অভিনেতার পাশে দাঁড়ান। তাঁর চিকিৎসার জন্য ২৫ লাখ টাকা দেন সঞ্চয়পত্র হিসেবে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সালেহ আহমেদের জন্ম। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে চাকরির পাশাপাশি ময়মনসিংহে অমরাবতী নাটমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই অভিনেতা। স্বাধীনতার আগে বিটিভিতে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতেন।