পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রী

বারবার নাজুক অবস্থায় পড়তে চাই না, গালি শুনতে চাই না

Looks like you've blocked notifications!
প্রাক বাজেট আলোচনায় বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। ছবি : এনটিভি

বাজেটের আগে শেয়ারবাজারের দরপতন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, ‘শেয়ারবাজারে যারা কারসাজি করছে, তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পুঁজিবাজার নিয়ে যারা খেলতে চায় তাদের খেলার দিন বিশ্বাস করি শেষ হয় যাবে। আমরা বারবার এটা নিয়ে নাজুক অবস্থায় পড়তে চাই না। বারবার মানুষের গালিগালাজ শুনতে চাই না।’

আজ বৃহস্পতিবার এনইসিতে প্রাকবাজেট আলোচনায় এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া আসছে বাজেটে নতুন করে কোনো কর বাড়ানো হবে না বলেও জানান মন্ত্রী।

এনজিও প্রতিনিধি, সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক এবং ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় অর্থমন্ত্রণালয়ের এই প্রাক বাজেট আলোচনা। যাতে তাগিদ আসে- ব্যাংকিং খাতসহ পুরো আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার। এ সময় বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা, বাজেটে বরাদ্দ এবং কর আরোপের ক্ষেত্রে নানা পরামর্শ দেন।

অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিলাস সামগ্রী ছাড়া কোনো ক্ষেত্রে কর বাড়বে না, বরং কিছু ক্ষেত্রে কমবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ট্যাক্স, ভ্যাট প্রদানে সক্ষম তাদের সবাইকে করের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করব। সে কাজটি করার জন্য কারো ওপর আমরা কর বাড়াব না। এক্সেপশনাল দুই একটা কেস ছাড়া। যাদের আয় বেশি তারা বেশি ট্যাক্স দেবে। যাদের আয় কম তারা দেবে না অথবা কম দেবে। আমরা এ নীতি অনুসরণ করি।’

অর্থমন্ত্রী আরো জানান, এখন থেকে শেয়ারবাজার এবং ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে দুরবস্থা দূর হবে। আশ্বস্ত করতে পারি। এখানে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছি।’

এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘নাইনটিন নাইনটি ওয়ান ভ্যাট শিডিউল টু অনুযায়ী সংবাদপত্রগুলো ভ্যাটমুক্ত। কিন্তু আমাদের ওপরে এটা চাপিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন বহুবছর ধরে। আগে আমরা বুঝিনি, দেখিনি। আমরা এবার বুঝেছি, জেনেছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ রইল।’

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘যারা হেলিকপ্টারে চড়ে ওয়াজ মাহফিল করতে যান তাদের ওপরে যেন কর দেওয়া হয়, এনবিআর যেন দেখে। কারা ফাঁকি দিচ্ছে সেটাও দেখা দরকার।’  

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের এখন ড্রইং বোর্ডে যাওয়া দরকার। নতুন করে বাজেটকে ঢেলে সাজানো দরকার।’