যশোরে পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

Looks like you've blocked notifications!

যশোর সদর উপজেলার ইছালী গ্রামের এনামুল কবিরকে হত্যার অভিযোগে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিরা হলেন—ইছালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) তপনকুমার বিশ্বাস, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাসেল, কনস্টেবল ইব্রাহিম, শহীদ, খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মাসুদ এবং পুলিশের কথিত সোর্স অরুণ। ইছালী গ্রামের নিহত এনামুলের স্ত্রী শিউলী বেগম গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি করেন।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আবু ইব্রাহিম মামলাটি গ্রহণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ৮ অক্টোবর গভীর রাতে ইছালী ও খাজুরা ক্যাম্পের পুলিশ সদর উপজেলার ইছালী ও মথুরাপুর গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালায়। তারা বাড়িগুলোর আসবাব ভাঙচুর এবং বাসিন্দাদের গালিগালাজ করে। ওই রাতে পুলিশ প্রথমে মথুরাপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার ইদ্রিস আলীকে, পরে ইছালী পূর্বপাড়ার মাসুদকে আটক করে। রাত পৌনে ৩টার দিকে পুলিশ ইছালী গ্রামের এনামুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে মাইক্রোবাসে খাজুরার দিকে নিয়ে যায়। ভোরে ভাই মাঈনুল কোতোয়ালি থানায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পুলিশ এনামুলকে থানায় নেয়নি। এরপর পরিবারটির সদস্যরা তাঁকে বিভিন্ন ক্যাম্পে খুঁজতে থাকেন। সকালে ইছালী ক্যাম্পে মেয়ে ঈশিতা খোঁজ নিতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে তার বাবার লাশ খুঁজতে বলে দেয়। ১০ অক্টোবর যশোর জেনারেল হাসপাতালের স্টাফদের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা সংবাদ পান, এনামুলের লাশ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারের কাছে রেললাইন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রেল পুলিশ (জিআরপি) লাশটি হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। খবর পেয়ে এনামুলের স্ত্রী, মেয়ে, ভাইসহ অন্যরা হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেন। 

সম্প্রতি ইছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন হত্যাকাণ্ডে তিনি জড়িত ছিলেন বলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাছ আলী দাবি করেন।

নিহতের ভাই কলেজশিক্ষক মাঈনুল জানান, তাঁর ভাই একসময় সর্বহারা পার্টি করতেন। তবে তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগসূত্র ছিল না। মৃত্যুর আগে তিনি চাষাবাদ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন।