নো ম্যান্স ল্যান্ড থেকে নারীর কঙ্কাল নিয়ে গেল বিএসএফ

Looks like you've blocked notifications!
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডের এই ধানক্ষেত থেকে বিএসএফ কঙ্কালসার লাশ উদ্ধার করলেও ওই নারীর পোশাক পড়ে আছে। ছবি : এনটিভি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডের একটি ধানক্ষেতে প্রায় কঙ্কাল হয়ে যাওয়া এক অজ্ঞাত নারীর লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সেটি উদ্ধার করে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।

কাঁটাতারের বেড়া থেকে লাশটি বেশ কিছুটা দূরে পড়ে থাকায় গ্রামবাসী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ধারণা লাশটি কোনো বাংলাদেশি নারীর হতে পারে। এ দিকে লাশটি কোনো বাংলাদেশির কি না তা খতিয়ে দেখতে বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

স্থানীয় লোকজন জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব সারডুবি সীমান্তে নিজেদের ধানক্ষেত দেখতে গিয়ে প্রথমে উৎকট গন্ধ পায়। পরে গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে নো ম্যান্স ল্যান্ডে লাশ দেখতে পায়। লাশের শরীরের মাংস খসে পড়ে হাড়গোড় বেরিয়ে এসেছিল এবং সেটি জড়িয়ে ছিল নারীর কাপড়। এসব দেখে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, হয়তো কোনো বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে সেখানে লাশটি ফেলে রাখা হয়েছিল। 

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক ৮৯১ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলারের কাছের ঘটনাস্থল থেকে বিএসএফ লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও ধানক্ষেতের মাঝখানে পড়েছিল লাল রঙের সালোয়ার ও লাল রঙের প্রিন্টের জামা। পাশেই পড়ে ছিল কয়েক টুকরো হাড়গোড়। আর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশে ভিড় করেছে উৎসুক বাংলাদেশিরা। 

এলাকাবাসী বলছে, যেহেতু ভারতীয় কাঁটাতার থেকে প্রায় দেড়শ গজ অদূরে অজ্ঞাত নারীর কঙ্কালসার লাশটি পড়ে ছিল সেহেতু তা কোনো না কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের হতে পারে।

বিজিবি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করা হচ্ছে লাশটি কোনো নারীর হতে পারে। লাশটি সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর ভারতের ফুলবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশি কোনো নারী নিখোঁজ রয়েছে কি না।

বিজিবির দোলাপাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিজিবির পক্ষ থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকায় খবর নেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে দুই মাসের মধ্যে এই এলাকায় কোনো নারী নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি।

হাতীবান্ধার বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তাফা জামান সোহেল বলেন, ‘ঘটনাস্থলটি আমার ইউনিয়নের সীমান্তের কাছাকাছি হলেও এখনো কোনো নারী নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি।’