ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি

Looks like you've blocked notifications!

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তর  ও উপকূলবর্তী ১৯টি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও তাৎক্ষণিক রেসপন্সের সুবিধার্থে শুক্র ও শনিবার অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।

সোসাইটির ডিজিস্টার রেসপন্স বিভাগ জানায়, সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরসহ (০২-৯৩৫৫৯৯৫) উপকূলীয় ১৯টি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জাতীয় সদর দপ্তরসহ ইউনিট পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মকর্তাদের প্রস্তুত রয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপি পরিচালিত উপকূলীয় জেলাগুলোর সব আশ্রয় কেন্দ্রকে প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩টি ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম, ৩টি মেডিকেল টিম, ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তত রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা ও বরগুনা জেলায় ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত আপডেট অবস্থা সোসাইটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হচ্ছে।

কক্সবাজার জেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে পূর্ব প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনো সমস্যা না হয়। এছাড়াও বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগণের সুরক্ষায় রেড ক্রিসেন্ট ফিল্ড হাসপাতাল ও ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সোসাইটির কনফারেন্স কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় করণীয় শীর্ষক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির উপ-মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক নাজমুল আযম খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই নিয়ে গত ৪ দিনে চারটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অপরদিকে, উপকূলীয় জেলাগুলোর সংশ্লিষ্ট ইউনিটসমূহ প্রত্যেকে কন্ট্রোল রুম খুলেছে। পাশাপাশি, সরকার ও রেড ক্রিসেন্ট যৌথ কর্মসূচি (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা ৭ নম্বর সিগন্যাল ঘোষণার পর থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করছে।

সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী  মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। উপকূলবর্তী জেলা ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটসমূহকে যেকোনো  পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে।