মোংলার আবহাওয়া স্বাভাবিক, আশ্রয়কেন্দ্রে তালা

Looks like you've blocked notifications!

৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার সকাল থেকে মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র তেমন কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত না হওয়ায় এখানকার জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে কেউই আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে না। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লোকজন না যাওয়ায় সেগুলোর তালাবদ্ধ রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মোংলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ চিলা ও জয়মণিরঘোল এলাকার কিছু লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে শুক্রবার সকালের স্বাভাবিক আবহাওয়া দেখে তাঁরা আবারও বাড়িঘরে ফিরে গেছেন। তবে আজ জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

প্রশাসন আরো বলছে, আবহাওয়া খারাপের দিকে গেলে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এদিকে এরই মধ্যে মোংলা উপজেলা প্রশাসনের কাছে সরকারের ত্রাণ তহবিলের ৩০ টন চাল এসে পৌঁছেছে। আজ চলে আসবে শুকনো খাবারও। সবকিছু মিলিয়ে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার বেগে ভারতের ওডিশার পুরি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এরপর সন্ধ্যায় ৬টা নাগাদ বাংলাদেশের খুলনা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া কার্যালয় জানিয়েছে।

এ কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে। জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।