আবারও লাইফ সাপোর্টে এ টি এম শামসুজ্জামান

Looks like you've blocked notifications!
অভিনেতা ও পরিচালক এ টি এম শামসুজ্জামান। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। আজ সোমবার সকালে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। অধ্যাপক রাকিব উদ্দিনের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ টি এম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনি জামান। তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার এ টি এম শামসুজ্জামানের লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়েছিল। তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পেরেছিলেন। কিন্তু আজ সকালে হঠাৎ আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর শরীরে ঠিকমতো অক্সিজেন পাচ্ছে না। আজ সকাল ১০টায় তাঁকে আবারও লাইফ সাপোর্টে রেখেছেন চিকিৎসকরা।’

মলমূত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত ২৬ এপ্রিল শুক্রবার রাতে অসুস্থ বোধ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। শ্বাসকষ্টও শুরু হয় তাঁর। এরপর সেদিন রাত ১১টায় পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে। গত ২৭ এপ্রিল দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাঁর পায়ুপথে অস্ত্রোপচার করা হয়। টানা তিন ঘণ্টা অস্ত্রোপচার শেষে গুণী এই অভিনেতাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল।

১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢালিউডে যাত্রা শুরু হয় এ টি এম শামসুজ্জামানের। ‘জলছবি’ ছবিতে প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালের দিকে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭৬ সালে আলোচনায় আসেন তিনি।

২০১৫ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পান গুণী এই অভিনেতা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘দায়ী কে?’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ ইত্যদি।