রুমার সীমান্ত অঞ্চল থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী সেপ্রুঝিড়ি পাহাড়ের অরণ্য থেকে জলপাই রঙের পোশাক পরা এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সীমান্তবর্তী পাহাড়ের ঝিড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি বলে যৌথবাহিনী জানিয়েছে। 

যৌথবাহিনী জানিয়েছে, পাহাড়ের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বান্দরবান ও রাঙামাটির সীমান্তবর্তী মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে যৌথবাহিনীর অভিযান আরো জোরদার করা হয়েছে। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, জেলার রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী সেপ্রুঝিড়ি পাহাড়ের অরণ্য থেকে জলপাই রঙের পোশাক পরা এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, লাশটি মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান লিবারেশন পার্টির (এএলপি) সদস্যের। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযানে নতুন করে হেলিকপ্টারে আরো ৮৮ জন সদস্য পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত অঞ্চলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে। তবে লাশ উদ্ধার নিয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে চলতি মাসের ৪ অক্টোবর বান্দরবানের সীমান্তবর্তী রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়তলী ইউনিয়নের দুর্গম সিদ্ধুপাড়া থেকে পর্যটক জাকির হোসেন মুন্না (৩০), আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের (৩২) ও স্থানীয় পর্যটক গাইড মাংসাই ম্রো (২৮) নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ১৯ দিনেও খোঁজ না পাওয়ায় তাঁদের পরিবারে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা আরো বেড়েছে। হতাশা দেখা দিয়েছে স্বজনদের মধ্যে। 

‘অপহৃত’ পর্যটক জাকির মুন্নার স্ত্রী ফাতেমাতোজ জোহরা বলেন, ‘স্বামী ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছি। আজ ১৯ দিন স্বামী কোথায় এবং কীভাবে আছেন কোনো খোঁজখবর পাচ্ছি না। আমার মেয়ে দুটিও বাবার জন্য প্রতিদিন কান্না করে। বাবা কবে আসবে এ প্রশ্নের কোনো উত্তর আমি দিতে পারছি না।’
 
‘অপহৃত’ পর্যটক জোবায়েরের বাবা আবদুর রব খান বলেন, ‘আমার ছেলে কোথায় আছে এবং কীভাবে আছে জানি না। ১৯ দিন ধরে তাঁর কোনো খোঁজ নেই। কয়েক দিন মুক্তিপণ দাবি এবং অপহৃতদের পাওয়া গেছে এমন গুজব শোনা গেলেও সত্যতা পাওয়া যায়নি। অপহরণকারীদের সঙ্গে স্থানীয়দের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি আমরা।’
 
গত রোববার বান্দরবানের সীমান্তবর্তী সেপ্রুঝিড়ি এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আনসার ও ভিডিপির সদস্য নেসং ম্রো (৩৮) নিহত হন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে সেনাবাহিনীর সৈনিক আবুল কাশেম ও আনসার সদস্য মো. হান্নান আহত হন।