কারাগারে দগ্ধ আইনজীবীর মৃত্যু : বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

Looks like you've blocked notifications!

পঞ্চগড় জেলা কারাগারে বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত আইনজীবী পলাশ কুমার রায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।

আগামীকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজি প্রিজন, পঞ্চগড় কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল পলাশ কুমার রায়কে পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

গত ২৫ মার্চ দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তাঁর বিরুদ্ধে কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে পরিবারের লোকজন নিয়ে অনশন শুরু করেন পলাশ কুমার রায়। পরে সেখান থেকে উঠে তাঁরা জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন মহাসড়কে এসে মানববন্ধন শুরু করেন।

অভিযোগ রয়েছে, পলাশ একপর্যায়ে রাস্তা বন্ধ করে হ্যান্ডমাইকের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কটূক্তি করেন। তখন কিছু লোক তাঁকে ধরে সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে স্থানীয় রাজিব রানা নামের এক যুবক তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। ওই দিনই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আইনজীবী পলাশকে গত ২৬ এপ্রিল বিকেলে ঢাকা পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু সকালে হঠাৎ কারা হাসপাতালের বাইরে থাকা একটি টয়লেট থেকে তিনি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দৌড়ে বের হন। এ সময় কারারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করেন এবং শরীরের আগুন নেভান। আগুনে তাঁর শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে যায়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিনই পলাশকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।