কুষ্টিয়ায় পৃথক দুই হত্যা : একজনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় গৃহবধূ তুলি খাতুন হত্যা মামলায় স্বামী আজাদ মণ্ডলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে মিরপুর উপজেলার কবরবাড়ীয়ায় কৃষক ডাবলু হত্যার দায়ে সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি আজাদ মণ্ডলের বাড়ি মিরপুর উপজেলার বালিয়া শিশা গ্রামে।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ মে দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গৃহবধূ তুলি খাতুনকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী আজাদ পরিবারের অন্য লোকদের সহযোগিতায় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেন এবং হত্যা শেষে গলায় রশি বেঁধে বাড়ির পাশের আমগাছে ঝুলিয়ে রাখেন।
এ ঘটনায় নিহত তুলির বাবা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় মামলা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আকরাম হোসেন দুলাল জানান, সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গৃহবধূ তুলি খাতুন হত্যার দায়ে আদালত আসামি আজাদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে আজ বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী কৃষক ডাবলু হত্যার দায়ে সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন মিরপুর উপজেলার কবরবাড়িয়া গ্রামের জামাল প্রামাণিক, আতর আলী, জামান হোসেন, আসাদুল মোল্লা ও মেহের আলী মালিথা এবং সাতগাছি গ্রামের রুবেল মালিথা ও আসলাম মালিথা।
এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুন সকাল সাড়ে ৬টায় ভিকটিম ডাবলুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও গলা কেটে হত্যা করে জিকে ক্যানেলের ব্রিক ফিল্ডের পাশে পুকুড় পাড়ে ফেলে রেখে যায় অজ্ঞাত আসামিরা। এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আতর আলী বাদী হয়ে মিরপুর থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩২ ধারায় হত্যা মামলা করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী জানান, ডাবলু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরো ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।