‘যে মুখে মা ডাক, সে মুখে মাদক নয়’
দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পাবনার বিভিন্ন মন্দির সেজেছে জমকালো সাজে। সাজসজ্জার বিভিন্ন অনুষঙ্গের পাশাপাশি মন্দিরগুলোতে ঝোলানো হয়েছে নানা রঙের ফেস্টুন। আর এসব ফেস্টুনে লেখা রয়েছে, ‘যে মুখে মা ডাক, সে মুখে মাদক নয়’, ‘আসুন, মাদককে না বলি’ ইত্যাদি সচেতনতার বাণী।
সাধারণ মানুষ বিশেষত যুবসমাজের মধ্যে মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি করতেই নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। সেই সঙ্গে বখাটেপনা ও উচ্ছৃঙ্খলতা ঠেকাতে মন্দিরগুলোতে উচ্চশব্দে গান বাজানো থেকে বিরত থাকার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব হলেও অন্য ধর্মের মানুষও এই উৎসব উদযাপনে অংশ নেয়। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে মন্দিরে মন্দিরে বহু মানুষের ঢল নামে। এই সুযোগে বিভিন্ন মহল্লার তরুণ ও যুবকরা মাদক সেবন করে বখাটেপনায় মেতে ওঠে। তারা মন্দিরে আসা নারীদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। এ ছাড়া অনেক এলাকায় প্রতিমা বিসর্জনের দিন মাদক সেবনও করা হয়। এতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
পূজার আগে প্রস্তুতি বৈঠকে পাবনার পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সামনে বিষয়গুলো তুলে ধরে তা প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছিন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে পূজা উদযাপন পরিষদ মাদক ও বখাটেপনা ঠেকাতে প্রতিটি মন্দিরে সচেতনতামূলক ফেস্টুন ও ব্যানার ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সঙ্গে প্রতিটি মন্দির পরিচালনা পর্ষদকে উচ্চশব্দে গান বাজানো থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয়।
পাবনা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গণেশ ঘোষ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় এবার মোট ৩০৯টি মন্দিরে দুর্গাপূজা হচ্ছে। প্রতিটি মন্দিরেই সচেতনতামূলক ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। তা ছাড়া পূজায় আসা দর্শনার্থীসহ উদযাপন কমিটিও সতর্ক ছিল। সব মিলিয়ে এবার পূজা খুব সুন্দরভাবে উদযাপিত হয়েছে বলে মত দেন তিনি।
পাবনা সদর উপজেলার ৮-১০টি মন্দির ঘুরে দেখা যায়, বড় বড় তোরণ ও নানা রঙের ঝলমলে বাতিতে সেজেছে প্রতিটি মন্দির। ঢাক আর ঢোলের শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে মন্দিরগুলো। প্রতিটি মন্দিরের প্রবেশদ্বারে ঝোলানো রয়েছে মাদকবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান, ব্যানার-ফেস্টুন।