মাশরাফিকে নিয়ে আশালীন মন্তব্য, ছয় চিকিৎসককে শোকজ
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন ভাষায় স্ট্যাটাস ও মন্তব্য করার অভিযোগে ছয় চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশে তাদের তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কেনো দণ্ড দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
নোটিশ পাওয়া ছয় চিকিৎসক হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী প্রয়াত আবদুল জলিলের মেয়ে নওগাঁ জেলা হাসপাতালের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা জুলি, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকস বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. আইরিন আফরোজ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ, মুন্সীগঞ্জের রসুলপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদা হাসান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেমাটো অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম রেজাউল করিম ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
কারণ দর্শানের নোটিশে সবাইকে বলা হয়েছে, আপনাদের আচরণ একজন সরকারি কর্মকর্তার জন্য মানানসই নয় এবং অশোভনীয় আচরণ এবং সরকারি কর্মচারী আচরণবিধির পরিপন্থী। যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী যা অসদাচরণ হিসেবে গন্য। অতএব উক্ত বিধিমালা হিসেবে আপানাদের কেন দণ্ডপ্রদান করা হবে না তা নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।
গত ২৫ এপ্রিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে কোনো চিকিৎসককে উপস্থিত পাননি। এমনকি নার্সও ছিলেন মাত্র দুজন। তিনি হাজিরা খাতায় বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের হাজিরাও দেখতে পাননি। অনুপস্থিত কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কিন্তু তাঁরা কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি।
পরবর্তীতে ২৯ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে নড়াইল সদর হাসপাতালের চার চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসকরা হলেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. মো. আখতার হোসেন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মো. শওকত আলী, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মো. রবিউল আলম ও মেডিকেল অফিসার ডা. এ এস এম সায়েম।
এই ঘটনার পর দেশজুড়ে বিভিন্ন চিকিৎসকরা মাশরাফির সমালোচনা করে তাঁকে নিয়ে অশালীন ভাষায় পোস্ট দেন ও মন্তব্য করেন।