হত্যা করে পালানোর সময় আটক, গণপিটুনিতে প্রাণ গেল ঘাতকের

Looks like you've blocked notifications!
নিহত ব্যক্তিদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল রাতে ওই হাসপাতালের সামনে ভিড়। ছবি : এনিটভি

কুমিল্লায় আলী আকবর নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করে এক যুবক। আলম নামের ওই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেয় মানুষ। আর এতে মারা যায় আলমও।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বালুতুপা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত আলী আকবর স্থানীয় বাসিন্দা মৃত চারু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় ইফতারি ও নামাজের পর আলী আকবর স্থানীয় এক ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আলম আলী আকবরকে ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে হত্যা করে।

ওই সময় আশপাশের লোকজনের চিৎকারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী আলমকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আলম।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক বলেন, ‘মাগরিবের নামাজ পইড়া আইসা দোকানে বইসা লাচ্ছি খাইতেছি। খাওয়ার পরে দেখলাম, সামনের মার্কেটের তলে সবাই দৌড় মারতাছে ওইদিকে। দৌড় মারার পরে দেখলাম যেই লোকটা আহত হইছে (আলী আকবর) উনি দৌড়াইয়া এইদিকে আইতাছে। আওয়ার পরে দেখি যে, যে ঘাই দিছে (আলম) সমানে তারে আরো ঘাই দিতেছে, ঘাই দিতেছে। তখন আমরা দৌড়ায়া কিছু করতে না পাইরা দেখি মেম্বার সাব বাইরায়া আসছে।’

‘পরে দেখি যে (আলী আকবরের) গলাটলা আলগা কইরা ফেলছে। এতটুকুই। কী নিয়া ঘটনাটা, এইটা জানতে পারি নাই। ঘটনাটা কী, এই মার্কেটটা খোলা থাকলে জানা যাইত। মার্কেটটা এখন বন্ধ, এই মার্কেটের গোড়াটাতেই কাহিনীটা। মার্কেট খোলা থাকলে তারা (মার্কেটের লোকজন) কী বলত, তাইলে বোঝা যাইত আসলে কী হইছে,’ বলেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী।  

এ ব্যাপারে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া বলেন, ‘ইফতারির পরে মাগরিবের নামাজ, নামাজের পরে পাশেই একটা জানাজা চলতেছিল, এটা সোয়া ৭টা-সাড়ে ৭টা হবে হয়তো বা, আলী আকবর নামের এক বয়স্ক লোককে ছুরিকাঘাত করতেছিল আলম নামে একটা ছেলে। ছুরিকাঘাত করার ফলে আকবর মারাত্মক আহত হয়, হাসপাতালে নিলে দেখা গেছে মারা গেছে।’

‘এদিকে আলম যখন ছুরিকাঘাত করে, তাৎক্ষণিক আবার সেখানে যারা যারা উপস্থিত ছিল, তারা আলমকে মারধর করে। আলমকেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে সেও মারা যায়,’ বলেন আবু ছালাম।

পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘এসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি, কারা কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, কী ঘটেছিল এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। যারা এ বিষয়ে জানে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।’ ওই দুজনের মধ্যে কোনো শত্রুতা ছিল কি না, সে ব্যাপারেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।