জাটকা বিক্রি করায় ৯ ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড, ২১ টন মাছ জব্দ

Looks like you've blocked notifications!
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সোয়ারীঘাটে মাছের আড়তে অভিযান চালান র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি : এনটিভি

সামুদ্রিক জাটকা বিক্রির অভিযোগে নয় মাছ ব্যবসায়ীকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর সোয়ারীঘাট মাছের আড়তে মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ২১ টন মাছ জব্দ করা হয়। সামুদ্রিক মাছ পরিবহনের দুটি কাভার্ডভ্যানও জব্দ করে র‍্যাব।

মাছের বাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে কি না এবং মাছ তাজা রাখতে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা দেখতে রাজধানীর সোয়ারীঘাটে মাছের আড়তে অভিযান চালান র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সঙ্গে ছিলেন ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। লম্বায় নয় ইঞ্চির কম সামুদ্রিক মাছ, যেগুলো জাটকা হিসেবে মৎস্য আইনে বলা হয়েছে, সেসব মাছ বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব মাছ বিক্রির সঙ্গে জড়িত নয়জন ব্যবসায়ীকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

সারোয়ার আলম বলেন, ‘আমরা চাই না এই মৎস্যসম্পদ কোনোভাবে নষ্ট হয়ে যাক। আমরা যেকোনো মূল্যে ইলিশ সম্পদ বা মৎস্যসম্পদ রক্ষা করার জন্য বদ্ধপরিকর। সে জন্য আমরা একটি বার্তা দিতে চাই, যারা এ ধরনের জাটকা ক্রয় বিক্রয় ও পরিবহন করবে বা হারভেস্ট করবে, মারবে বা ধরবে, তাদের প্রত্যেককে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’

মাছের আড়ত থেকে প্রায় ২১ টন মাছ জাটকা মাছ জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরিণত সামুদ্রিক মাছের আড়ালে জাটকা পরিবহনের কাজে নিয়োজিত দুটি কাভার্ডভ্যানও জব্দ করে র‍্যাব। রাজধানীতে ১২টি মাছের আড়তের মধ্যে যাত্রাবাড়ী ও সোয়ারীঘাটে জাটকা বিক্রির প্রবণতা বেশি বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক মাছের বাজার আছে। আমরা অঞ্চলভিত্তিক ভাগ করে মনিটরিং টিমগুলোকে ১০টি জোনে ভাগ করে মাছের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

শুক্রবার সোয়ারীঘাট আড়তে অভিযান চালিয়ে মাছের মধ্যে কোনো ধরনের রাসায়নিকের নমুনা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।