মাঠে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ, হাত-পা বাঁধা মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোরের দিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী।
কোলা পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক আবুল কাশেম জানান, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরী পাশের বাড়িতে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার জন্য যায়। পাশের খালকুলা গ্রামের আল-আমিন (২০) ও তার এক সহযোগী ওই কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে মাঠে রাতভর ধর্ষণ করে। ভোরের দিকে হাত-পা বেঁধে অচেতন করে ফেলে রেখে যায়। গ্রামের লোকজন ভোর ৫টার দিকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। দুপুর ১২টার দিকে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ভুক্তভোগীকে থানায় নিয়ে আসে।
দুপুরে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস আলী জানান, এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে। কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আর মেয়েটিকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়নি।
বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অপূর্ব সাহা ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মিথিলা ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, এখন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার কোনো মেয়েকে হাসপাতালে পাঠায়নি কালীগঞ্জ থানার পুলিশ।
অথচ কালীগঞ্জ থানা থেকে সদর হাসপাতালের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা সময় লাগার কথা।
এ ব্যাপারে পরে ওসির কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘পথে আছে। এখুনি পৌঁছাবে।’