ভৈরবে বাসি হালিম বিক্রি করায় ফুলকলিকে জরিমানা

Looks like you've blocked notifications!
পঁচা ও খাবার অযোগ্য বাসি হালিম বিক্রির দায়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ফুলকলি সুইটমিটকে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত সাদমীন। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে খাবার অযোগ্য পঁচা খেজুর, বাসি হালিম এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ দই বিক্রির দায়ে ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এমন কর্মকাণ্ড থেকে। অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

শনিবার বিকেলে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয়মোড় এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীনের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয়মোড় এলাকার খেজুর ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া, আক্তার হোসেন, সবুজ মিয়া ও কাউসার মিয়ার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এ সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ ও খাবার অযোগ্য খেজুর বিক্রির দায়ে তাদের প্রত্যেককে আড়াই হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

সর্দার সুইটমিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও বাসি দই ফেলে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত সাদমীন। ছবি : এনটিভি

একই সময় স্থানীয় ফুলকলি সুইটমিট ও রেস্তোঁরায় অভিযানকালে পঁচা ও খাবার অযোগ্য হালিম রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ তৈরি হালিম রাস্তায় ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। পরে সর্দার সুইটমিটে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও বাসি দই পাওয়া গেলে সেগুলো ফেলে দেওয়া এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত।

পবিত্র মাহে রমজানে রোজাদারদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এমন অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত সাদমীন। অভিযানে ভৈরব পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগম ও পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন বলেও তিনি জানান।