ভূমধ্যসাগরে নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩৭ জন বাংলাদেশি : দূতাবাস

Looks like you've blocked notifications!

লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে শুক্রবার নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৩৭ বাংলাদেশি অভিবাসী নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

আজ রোববার বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলর আ. স. ম. আশরাফুল ইসলাম বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, নৌকাটিতে অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিকের মধ্যে ৫১ বাংলাদেশি ছিল। তাদের মধ্যে ৩৭ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।’

‘উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। নিহতদের সংখ্যার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না,’ বলেন আশরাফুল।

দূতাবাস কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘বিস্তারিত জানার জন্য তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দূতাবাস। আমরা তিউনিসিয়ার পথে রয়েছি। আজকের মধ্যে সেখানে পৌঁছানোর আশা করছি।’

তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টের মঙ্গি স্লিম বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়। গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি নৌকায় তোলা হলে তিউনিসিয়া উপকূলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়।

তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারজিজ শহরের তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশি।

মঙ্গি স্লিম জানান, এখনো বাংলাদেশি, মিসরীয়, মরক্কো, শাদ ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের নাগরিকরা নিখোঁজ রয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বেঁচে ফেরা অভিবাসীরা জানিয়েছেন, গভীর সাগরে তাঁদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি নৌকায় তোলা হয়। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে সেটি সাগরে ডুবে যায়।

উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানান, ঠাণ্ডা সাগরের পানিতে তাঁরা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন।

শুক্রবারের দুর্ঘটনাকে এ বছর জানুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক অভিবাসী নৌকাডুবির ঘটনা বলেছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

একটি ভালো জীবনযাপনের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে ইউরোপে যাওয়ার পথ বেছে নেয় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি। প্রায়ই অনেকে সমুদ্রে ডুবে নিহত হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এ বছরের প্রথম চার মাসে লিবিয়া থেকে ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ১৬৪ জন মারা গেছেন।