ত্রিশালে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা, মামলা নেয়নি পুলিশ

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পদ দখল করতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। ছবি : এনটিভি

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পদ দখল করতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নারী-শিশুসহ তিনজন। আহতরা হলেন শিশু আমেনা খাতুন (৬), ফাতেমা খাতুন (৫৫) ও তোফাজ্জল হোসেন (৪০)।

গত ৮ মে সন্ধ্যায় ত্রিশাল উপজেলার খাগাটি গ্রামে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মামলা না নিয়ে উল্টো মুক্তিযোদ্ধার জামাতাকে অন্য মামলার আসামি করে জেলে পাঠিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা তাহের আলীর মেয়ের জামাই আবদুল কাদের জিলানী ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ উল্টো মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য নূরজাহান ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা তাহের আলীর মেয়ে সেলিনা বেগমের অভিযোগ, তাঁর প্রয়াত বাবার সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী মামুনের মদদে সোহাগ, সজীব, আনোয়ার, রশিদ, রউফ, কালামের নেতৃত্বে ওই সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ৯ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছেও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে বলে অভিযোগ করেন নূরজাহান ও সেলিনা বেগম। বসতঘরের সব ধরনের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পাঁচ লক্ষধিক টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে। ঘটনার সময় ত্রিশাল থানা পুলিশকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, হামলা-ভাঙচুরের কোনো অভিযোগ জানা নেই। জিলানীর লোকজন হত্যা মামলার স্বাক্ষীকে মারপিট করায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় জিলানীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ত্রিশাল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রকিব খান জানান, মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।