‘পানির উন্নয়ন করতে হবে, আগে আমাগো পানি দরকার’

Looks like you've blocked notifications!
সোমবার রাজধানীর বাড্ডা রামপুরা এলাকায় খালি পানির পাত্র উঁচিয়ে পানি সংকটের কথা জানান দেন সেখানকার বাসিন্দারা। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। খাওয়া ও গৃহস্থালির কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় পানি জোগাড় করতে সীমাহীন দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন ওই সব এলাকায় বসবাসকারীরা।

এদিকে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২১ সালের আগে নগরীর পানি সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে না।

তীব্র পানি সংকটে নগরীর অনেক এলাকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। রাজধানীর বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা, রামপুরা এলাকায় বসবাসকারীরা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকায় ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কখনো বা সারাদিনে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পানির লাইনে সরবরাহ থাকে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

সোমবার রাজধানীর রামপুরা এলাকার এক বয়োজ্যেষ্ঠ বাসিন্দা ক্ষুব্ধ হয়ে বলছিলেন, ‘সরকার তো বলতেছে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করতেছে, কিন্তু আমাদের পানি দিতে পারতেছে না। আমাগো আগে পানি দরকার, উন্নয়ন বাদ দিয়া আগে পানির উন্নয়ন করতে হবে।’

সোমবার এনটিভির সঙ্গে ঢাকার পানি সংকট নিয়ে কথা বলেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। ছবি : এনটিভি

অনেকের অভিযোগ, ওয়াসার পক্ষ থেকে পানি সমস্যার সমাধানের কথা বলা হলেও বাস্তবে সংস্থাটি কোনো পদক্ষেপ নেই। এমনকি অনেক এলাকায় ওয়াসার পানি সরবরাহের গাড়িও আসে না অনেক দিন ধরে।

ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী ঢাকাতে প্রতিদিন পানির চাহিদা ২৪২ থেকে ২৪৮ কোটি লিটার। বর্তমানে ওয়াসার ২৫৫ কোটি লিটার উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও গ্রীষ্মকালে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় প্রয়োজনীয় পানি উত্তোলন সম্ভব হয় না। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এ সংকটের স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে ওয়াসা।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ‘এই সংকট আর থাকবে না। ভাকুর্তা আসলে চেঞ্জ হবে। আর সবশেষে ২০২১ সালের মধ্যে ৭০ ভাগের কাছাকাছি ভূউপরিভাগের পানি ব্যবহার করতে পারব। সেটা যদি যেতে পারি তাহলে সম্পূর্ণ চেঞ্জ হয়ে যাবে।’

বাড্ডা এলাকার এক নারী বলছিলেন, পানি কিনে এনে রোজা রাখতে হচ্ছে। পানি পাইতেছি না, রোজা থাকতেও কষ্ট হচ্ছে।

অনেকের অভিযোগ, মাসের মধ্যে অর্ধেক সময়ই ওয়াসা পানি সরবরাহ করতে না পারলেও মাস শেষে পুরো মাসের পানির দামই আদায় করে যা তাদের ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দেয়।