ছাতকে আ.লীগে সংঘর্ষ, একজন নিহত, ওসি গুলিবিদ্ধ

Looks like you've blocked notifications!

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুরমা নদীতে চাঁদাবাজি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শাহাবুদ্দীন নামের একজন নিহত হয়েছেন। ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামালসহ দুই পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ও অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজনকে ছাতক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ছাতক থানার ওসিসহ গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থল অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ২৮ জনকে অাটক করেছে পুলিশ। অভিযান চলছে।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিন চৌধুরী ও ছাতক পৌরসভার কাউন্সিলর তাপস চৌধুরী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমেদ চৌধুরীর মধ্যে সুনামগঞ্জের ছাতকের অংশের সুরমা নদীতে চাঁদাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে বেশ কিছু দিন ধরে।  ছাতক পৌরসভার নয়জন কাউন্সিলর মিলে একটি সমিতির মাধ্যমে সুরমা নদীতে চাঁদার টাকা তুলেন। নদীতে চাঁদাবাজির ঘটনায় গত রোববার সুরমা নদীতে কাউন্সিলর তাপসের পক্ষের লোকজন চাঁদার টাকা তুলতে গেলে পুলিশ দুজনকে আটক করে। এনিয়ে শামীম আহমেদ চৌধুরীর লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কাউন্সিলর তাপসকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করে লেখালেখি করেন।

এ নিয়ে শাহিন চৌধুরী কাউন্সিলর তাপসের পক্ষ নিয়ে পাল্টা জবাব দেন। ফেসবুকে গালাগালির জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে উভয়পক্ষ ছাতক পৌর শহরে জড়ো হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষ গোলাগুলি করে। এতে   শাহাবুদ্দীন নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় আরো এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধসহ ৫ পুলিশ আহত হয়েছেন।

এদিকে গোলাগুলির ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ আরো অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহতদের ছাতক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ছাতক থানার ওসি ও পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল ছাতাক) বিলাল হোসেন একজন নিহত ও ছাতক থানার ওসির গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই সংঘর্ষে আরো এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধসহ মোট ৫ পুলিশ আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ছাতক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা আফসারিন জানান, নদীতে চাঁদাবাজি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনসহ ঘটনা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে বেশ কয়েকজন আহত হবার খবর পেয়েছি।