আইসিইউতে কাঁদলেন এ টি এম শামসুজ্জামান

Looks like you've blocked notifications!
অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। ছবি : সংগৃহীত

বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান আইসিইউতে আছেন। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে উন্নতি হয়েছে।

এ টি এম শামসুজ্জামানের বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে তাঁর স্ত্রী রুনি জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আগের চেয়ে উনি ভালো আছেন। এখন খাবারও খেতে পারছেন।’

রুনি জামান আরো বলেন, ‘উনাকে হাসপাতালে দেখতে মিডিয়ার কাছের মানুষরা অনেক আসছেন। সৈয়দ হাসান ইমাম বেশ কয়েকবার দেখতে এসেছিলেন। এই কথা গতকাল মঙ্গলবার আমার মুখ থেকে শোনার পর অনেক কেঁদেছেন তিনি। সৈয়দ হাসান ইমামকে আমরা অনেক ভালোবাসি। আমাদের বাবার মতো তিনি। বারবার কষ্ট করে তিনি হাসপাতালে এসেছেন, এটা জেনে উনি (এ টি এম শামসুজ্জামান) আবেগ ধরে রাখতে পারেননি।’

এদিকে, এ টি এম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার সকাল ৮টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে এ টি এম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েলের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন, সংগীতশিল্পী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বর্তমানে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এ টি এম শামসুজ্জামান। অধ্যাপক মতিউল ইসলামের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

মলমূত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত ২৬ এপ্রিল শুক্রবার রাতে অসুস্থ বোধ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। শ্বাসকষ্টও শুরু হয় তাঁর। এরপর সেদিন রাত ১১টায় পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে। গত ২৭ এপ্রিল দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাঁর ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করা হয়। ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় তাঁর। এরপর ৩০ এপ্রিল তাঁকে প্রথম লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে লাইফ সাপোর্ট খুললে আবারও অসুস্থবোধ করেন তিনি। ৬ মে আবারও তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল।

১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢালিউডে যাত্রা শুরু হয় এ টি এম শামসুজ্জামানের। ‘জলছবি’ ছবিতে প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালের দিকে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭৬ সালে আলোচনায় আসেন তিনি।

২০১৫ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পান গুণী এই অভিনেতা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘দায়ী কে?’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ ইত্যদি।