কুলিয়ারচরে বিস্ফোরণ : ঢাকা মেডিকেলে শিশু সালমানের মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের আকবর হোসেন গোলাপের আধা পাকা মার্কেটের একটি ওয়ার্কশপে গত শনিবার জ্বালানি তেলবাহী একটি লরির খালি ট্যাংকি বিস্ফোরিত হয়। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকলরির খালিট্যাংকি ঝালাই দেওয়ার সময় ট্যাংকি বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত শিশু সালমান মারা গেছে। সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

মঙ্গলবার সেখান থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে শিশু সালমানকে কুলিয়ারচরের আগরপুরে নিজ এলাকায় দাফন করা হয়। আগরপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মলু মিয়া এই কথা জানিয়েছেন।

গত শনিবার সকালের ওই দুর্ঘটনায় শিশু সালমানের দেহের শতভাগ দগ্ধ হয়। তাকে প্রথমে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠান চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনায় অপর আহত হাকিম ও সফিকের ৮০ শতাংশ এবং নাইমের ৪০ শতাংশ পুড়ে যায়। তারাও বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় লোকজন জানায়, শনিবার সকালে কুলিয়ারচরের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের আকবর হোসেন গোলাপের আধা-পাকা মার্কেটের একটি ওয়ার্কসপে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে জ্বালানি তেলবাহী একটি লরির খালি ট্যাংকি মেরামতের জন্য ঝালাই দেওয়ার সময় গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটলে সালমান (১৩), হাকিম (২৭), শফিক (২৬) ও নাইমসহ চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়। এ সময় ট্যাংকিটি শূন্যে উড়ে গিয়ে মার্কেটের কয়েকটি দোকানের ওপর পড়লে সাত-আটটি দোকানের টিনের চালা ও সাটার বিধ্বস্ত হয়।

পরে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে প্রথমে সালমান, হাকিম ও শফিক এবং পরে নাইমকে ঢাকা পাঠান চিকিৎসক।