ধানের ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় সরকার : কৃষিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি : এনটিভি

বোরোর বাম্পার ফলনের পর কৃষক ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে সরকার। আর সমস্যাটির দ্রুত কোনো সমাধান দেওয়াও কঠিন। এ কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আপাতত ঝুঁকি নিয়ে হলেও চাল রপ্তানির সক্রিয় চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আর স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সরকার কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান-চাল কিনতে পারে না বলে জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারি হিসেবে ফলন হয়েছে তিন কোটি ৫০ লাখ টন। এই অতিরিক্ত ফলন কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে পারছে না। উল্টো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা, ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষক। বিষয়টি সরকারকে ভাবিয়ে তুললেও সহজ কোনো সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যথাযথ দাম পাচ্ছে না, ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। এটার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আমরা আলাপ করেছি। খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এটা নিয়ে আমরা গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা করছি। কী কী পদক্ষেপ নিলে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি এবং চাষির মুখে হাসি ফোটাতে পারি।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইমিডিয়েটলি, ইনস্ট্যান্টলি এই সমস্যার সমাধান করা খুবই কঠিন। উৎপাদন যেটা দেখছি আমরা কিছু চাল রপ্তানি করব।’ তিনি বলেন, ‘যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় আমরা বিদেশ থেকে এনে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব।’

সরকার কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি কেন ধান কিনছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিনেও সরাসরি ধান কেনার কোনো পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হয়নি। আর এবার আগেভাগে ধান-চাল কেনার উদ্যোগ নিলেও মিলাররা আগের আমন মৌসুমে বেশি চাল কিনে রাখায় সংগ্রহ অভিযান এখনো গতি পায়নি। আর সব মিলিয়ে ১০ লাখ টন ফসল কেনা সম্ভব, যা উৎপাদনের তুলনায় খুবই কম।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এত চাষি। কার কাছ থেকে কিনবেন? একজনের কাছ থেকে কিনবেন আর পাঁচজন দিতে চাইবে।’ তিনি বলেন, ‘কোনো পদ্ধতি আমরা বের করতে পারছি না যে সরাসরি আমরা কীভাবে চাষির কাছ থেকে কিনব। কিনে তো মিলাররা। তাদের সমস্যা হয়েছে কি—আগের চাল রয়ে গেছে।’

এর আগে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে চীনে রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ার সাথে বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী।