কৃষক-শ্রমিকদের ন্যায্য মূল্য আদায়ে আন্দোলন করতে হবে : নোমান

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। পুরোনো ছবি : এনটিভি

কৃষক ও শ্রমিককে তাঁদের ন্যায্য মূল্য আদায়ের জন্য একসঙ্গে আন্দোলন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, ‘কৃষক যদি না বাঁচে, তাহলে দেশ বাঁচবে না।’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাটকল শ্রমিকদের ৯ দফা দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন আবদুল্লাহ আল নোমান। এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী পাটকল শ্রমিক দল।

এ সময় আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘যেখানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা বলা হয়, সেখানে আমদানির প্রশ্নই আসে না। কিন্তু আজকে এই সরকার চাল আমদানি করছে। এটা সরকারের কারসাজি। দেশের কৃষকদের মূল্য দিতে হবে, তাদের উৎপাদনের মূল্য দিতে হবে। শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে। আমাদের মৌলিক শিল্পগুলোকে রক্ষা করতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘আজকে দেশের যে পরিস্থিতি, এ পরিস্থিতিতে মনে রাখতে হবে, কৃষক যদি না বাঁচে, তাহলে দেশ বাঁচবে না। কৃষককে রক্ষা করতে হবে। কৃষককে রক্ষা করতে হলে চাষাবাদের বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। চাষাবাদকে যদি বিস্তৃত করতে হয়, তাহলে কৃষককে উৎপাদনের খরচ দিতে হবে। আজকে উৎপাদনে কৃষকের যে খরচ হচ্ছে, সে খরচের টাকাও তাঁরা পাচ্ছে না।’

‘দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশের উৎপাদিত চাল বিদেশে রপ্তানি করার পরিকল্পনা করছে সরকার’- খাদ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে নোমান বলেন, ‘যেখানে সরকার আমদানি করছে, সেখানে উদ্বৃত্ত হয় কি করে? আসলে দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে টাকা পাচার হচ্ছে, সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘পাট আমাদের মৌলিক সম্পদ। এটাকে বাঁচাতে হবে। পাটকলের শ্রমিক ও কর্মচারীদের বাঁচাতে হবে। পাটের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। আরো মিল কারখানা চালু করতে হবে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত মিল কারখানাগুলো বেসরকারি পর্যায়ে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

মানববন্ধনে পাটকল শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।