‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার’

Looks like you've blocked notifications!

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য, বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য নয়।’ তিনি বলেন, ‘এ আইনের যাতে অপপ্রয়োগ বা অপব্যবহার না হয় সেজন্য সরকার সব রকমের ব্যবস্থা নেবে এবং আইনটিকে আধুনিক করার ব্যাপারে সরকার কাজ করবে।’

আজ রোববার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের  প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের বাংলাদেশ প্রতিনিধি, জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিনিধিদলটি মূলত দুটো ইস্যু নিয়ে দেখা করতে এসেছিল। এর মধ্যে একটা হচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মর্যাদা বি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীতকরণ। তিনি বলেন, ‘কমিশনের এই মর্যাদা বৃদ্ধির বিষয়ে তারা সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন, কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি গঠনের যে বিধান রয়েছে তা বহাল রাখার পাশাপাশি সিভিল সোসাইটির সাথে আলোচনা করে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হলে তা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আর এটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেলে যারা মানবাধিকার কমিশনকে আপগ্রেডেশন করেন তারাও সন্তুষ্ট হবেন এবং বি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে যাওয়ার পথ সুগম হবে।’

 মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিনিধিদল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতার বিষয়েও কথা বলেছেন। আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে আর্থিকভাবে স্বাধীন। কমিশনের যে বাজেট প্রয়োজন হয় তা আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়। তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব আইন মন্ত্রণালয়কে দিতে হয় না। তিনি বলেন, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনের জুরিসডিকশন বাড়ানোর ব্যাপারেও প্রতিনিধিদল মত দিয়েছেন। সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলবে। আমরা সেটা চেষ্টা করব।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয়ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানোর বিষয়েও তারা সুপারিশ করেছেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও মনে করি এ আইনের বাস্তবায়ন কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য একটা সুস্পষ্ট জায়গা থাকা উচিত। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে।’