অ্যাকর্ড এ দেশে আরো ২৮১ দিন কার্যক্রম চালাতে পারবে
পোশাক কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সংস্কার কাজ তদারকে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড তাদের কার্যক্রম চালাতে ২৮১ দিন সময় পেয়েছে।
আজ রোববার অ্যাকর্ডের সময় আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আইনজীবী কে এস সালাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। বিজিএমইএর আইনজীবী ছিলেন ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর একই বছরের ১৫ মে ইউরোপের ২০টি দেশসহ উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ২০০ ব্র্যান্ড এবং খুচরা ক্রেতা ও কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়নের সমন্বয়ে অ্যাকর্ড গঠিত হয়।
ক্রেতা ও ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে, এমন এক হাজার ৬০০ কারখানা ভবনের কাঠামো,অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এখন সংস্কার কাজ তদারকি করছে। ২০১৮ সালের জুন মাসে তাদের কার্যত্রম শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে তারা আরো তিন বছর সময় বাড়িয়ে নেন।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের কার্যক্রম নিয়ে চূড়ান্ত রায় দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে অ্যাকর্ডকে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু গুটিয়ে না নেওয়ায় এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই সময়ে রিট করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়াকার্স এমপ্লয়িজ লীগের পক্ষে সভাপতি লিমা ফেরদৌস। ওই বছরের ১৫ অক্টোবর রিটের শুনানি শেষে তিন বছর বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
২০১৭ সালের ১৫ অবক্টোবর ওই আদেশের পর বিজিএমইএ এর আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম জানান, সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের অনুমোদন না দিয়ে অ্যাকর্ড ২০১৭ সালের ২১ জুন তাদের কার্যক্রমের মেয়াদ তিন বছর বাড়ায়।
এ বিরুদ্ধে রিট আবেদনের পর আদালত রুলসহ তিন বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ২০১৮ সালের ১৫ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন। রুলে সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের অনুমোদন না নিয়ে মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে অ্যাকর্ড। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এরমধ্যে কয়েকদফা স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে অ্যাকর্ড তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
রোববার আদালতে অ্যাকর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এস সালাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। বিজিএমইএর আইনজীবী ছিলেন ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
পরে ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে আপিল বিভাগে করা অ্যাকর্ডের আবেদন নিষ্পত্তি করে ২৮১ কর্মদিবস কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।। গত ৮ মে বিজিএমইএ ও অ্যাকর্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। এখন অ্যাকর্ড আর বিজিএমই যৌথভাবে কারখানা পরিদর্শন করে শ্রমিকের কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে। ২৮১ দিন পর অ্যাকর্ড সব বুঝিয়ে দিবে।’