‘অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে’ রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী শাওনের আত্মহত্যা!

Looks like you've blocked notifications!
সাবেক স্বামী অপু খানের সঙ্গে ফারহানা ইয়াসমিন শাওন। ছবি : সংগৃহীত

খুলনার রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ফারহানা ইয়াসমিন শাওন আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। রোববার নগরীর শেরেবাংলা রোডের ৩ নম্বর কাশিমনগর শিল্প এলাকার ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ সদস্য ও চিকিৎসকরা।

ফারহানা ইয়াসমিন শাওন নগরীর আলকাতরা মিল এলাকার শেখ আবদুল হকের মেয়ে। এক বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে শাওন ছিলেন বড়। তিনি ডুমুরিয়া সাজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। খুলনার ভাড়া বাসায় থেকেই শিক্ষকতা করতেন। পাশাপাশি রবীন্দ্র সংগীতের প্রশিক্ষক হিসেবেও খ্যাতি ছিল তাঁর।

গত ৬ মে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়। এতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় শাওনকে।

শাওনের সহকর্মী লিটন ঢালী জানান, ছয় মাস আগে স্বামী অপু খানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শাওনের। এ নিয়ে মানসিকভাবে তিনি কিছুটা বিপর্যস্ত ছিলেন।

কাছেই বাবার বাড়ি হলেও শাওন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক শাহানা আলিমার সঙ্গে কাশিমনগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

শাওনের রুমমেট শাহানা আলিমা জানান, রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে শাওনকে মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত দেখেন। দুজনে কিছু বলার পর যে যার কক্ষে চলে যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাওনের ঘর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না আসায় তিনি ডাকাডাকি করেন। পরে আশপাশের বাড়ি থেকে অন্যরা এসে কাঁচের দরজা ভেঙে শাওনকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, ‘মানসিকভাবে কিছুটা খারাপ থাকায় শাওন প্রায়ই ঘুমের ওষুধ খেতেন। পরিবার ও বন্ধুদের পক্ষ থেকে একাধিকবার তাঁকে ঘুমের ওষুধ খেতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তিনি শুনতেন না।’

ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তারপরও সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’