৪ আঙুল কাটার ঘটনায় মামলা, গা-ঢাকা দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা

Looks like you've blocked notifications!
শনিবার সাতক্ষীরার কলারোয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা সাবেক নেতা জি এম তুষারের হাতের চার আঙুল কেটে দেন সদ্য স্থগিত হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নাইস। ছবি : স্টার মেইল

সাতক্ষীরায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জি এম তুষারের হাতের চার আঙুল কেটে ফেলার ঘটনায় মামলা ঘাড়ে নিয়ে পালিয়েছেন ছাত্রলীগের সদ্য স্থগিত হওয়া কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকরা।

এরই মধ্যে পুলিশ রেজাউল ইসলাম নামের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।

ওসি জানান, শনিবারের ওই ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাগর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইস, রেজাউল ইসলাম, বাবু, মন্টু ঢালী, পলাশ, সিজানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মামলা হয়েছে। আহত জিএম তুষারের চাচা আবু সিদ্দিক মামলাটি করেন। এই মামলার পর পরই আসামিরা কলারোয়া ছেড়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

শনিবার একখণ্ড বিরোধপূর্ণ জমির দখল নিয়ে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জি এম তুষারের সঙ্গে বিরোধ বাধে মন্টু ঢালী, ইমাম, বাবু ও সিজানের। দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় তারা কম বেশি আহত হন। পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী জি এম তুষার কলারোয়া হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে যান। তুষারের হাতে কয়েকজন মার খেয়েছে—এমন খবরে উত্তেজিত হয়ে সঙ্গীদের নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাগর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইস হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে তুষারকে ধারালো দা দিয়ে কোপ মারে। তুষার এই কোপ ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তাঁর চারটি আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে মেঝেতে পড়ে যায়। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও পরে হেলিকপটারে ঢাকায় নেওয়া হয়।

তবে তুষারের আঙুলগুলো জোড়া লাগানো সম্ভব হয়েছে জানা গেছে। এখন তাঁর অবস্থা অনেকটাই ভালো।

এদিকে এই ঘৃণ্য অপরাধে তিন সদস্যের কলারোয়া উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।