বালিশ হাতে নিয়ে প্রতিবাদ

Looks like you've blocked notifications!

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে বালিশ হাতে করে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ নামের একটি সংগঠন। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

সংগঠনটির সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন বলেন, উন্নয়নের অন্তরালে লুটপাটের মহোৎসব চলছে। তারই জঘন্য উদাহরণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্নীতি। ইতিহাসে এমন মহাদুর্নীতি কেউ করেছি কি না সন্দেহ।

রিপন বলেন, উন্নয়নের অন্তরালে মহালুটপাটে মহাব্যস্ত মহাজোট সরকার। আমি নতুন প্রজন্মের একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যখন দেখি মেগা প্রজেক্টে মহা লুটপাটের উৎসব চলছে তখন আমি হতাশ হই।

‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ সংগঠনের সভাপতি বলেন, ইতিহাসে যদি লক্ষ করি, ১৯৭১ সালে বৈষম্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল মানুষের অধিকার থাকবে, ভোটের অধিকার থাকবে, গণতন্ত্র থাকবে, হবে একটি সুন্দর বাংলাদেশ। কিন্তু সব কিছুই আজ বনবাসে গেছে। মানুষ কথা বলতে পারছে না, ভোট দিতে পারছে না। এ সুযোগ নিয়ে মহালুটপাটে মেতে উঠেছে সরকার। মানুষের ঘৃণা তাদের চোখে পড়ে না।

রিপন বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যখন দেখি বুয়ার বেতন, গাড়ি চালকের বেতন, প্রকল্প পরিচালকের বেতন, সর্বশেষ বালিশের দাম ও তোলার দাম আকাশ চুম্বি, তখন জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত। যখন দেখি কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ধানক্ষেতে আগুন দেয়, বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর বিচার হয় না, যখন ফেলানির লাশ কাটা তারে ঝুলে থাকে। বিচার কার কাছে চাইব কূল পাই না।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গণঐক্য সংগঠনের সভাপতি আরমান হোসেন পলাশ। তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে হরিলুট তা ইতিহাসে সেরা। দুর্নীতির কালো মেঘ বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলেছে। একইসঙ্গে সোচ্চার প্রতিবাদী হতে হবে, এই মহামারীর বিরুদ্ধে। দেশে দুর্নীতির সঙ্গে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা, কৃষকের হাহাকার।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, জাতীয় বিপ্লবী পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, গণঐক্যের প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।