রূপপুর নিয়ে মুখ খুললেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। ছবি : এনটিভি

বেতন কাঠোমো চূড়ান্ত হওয়ার আগেই পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চালক ও রাঁধুনীদের বেতন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তিনি বলেন, ‘মূল প্রজেক্টের ধারে কাছেও কিন্তু এটা না। এটা বেশ দূরে। এটা থাকার ব্যাপার। এটা এমন না যে প্রজেক্টের কোনো একটা পার্ট।’

আজ সোমবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইয়াফেস ওসমান।  রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্পের ফ্ল্যাটে বালিশসহ অন্যান্য আসবাবপত্রের কেনা ও তোলার বিষয়টি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায়, এ বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তারাই তদন্ত করছে বলেও জানান ইয়াফেস ওসমান।

সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই প্রকল্পের নথিপত্র ঘেঁটে অস্বাভাবিক অর্থ ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, আসবাবপত্র ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে তুলতে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মিত ভবনে ব্যবহার্য পণ্যের জন্য ওই ব্যয় দেখানো হয়।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। ওই বিষয়ে মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘প্রকল্প যখন চালু হবে তখন এ ধরনের বিষয় আসবে। সেটাও কিন্তু অন্য সরকারি কোম্পানির সাথে মিলিয়ে করা। এখানে বাড়তি কিছু করা হচ্ছে না। যদি অন্যান্য দেশে সেনসিটিভ, অনেকের ধারণা নেই, রিস্ক অ্যালাউন্সের বিষয়টি থাকে সেগুলোতেও এখন পর্যন্ত ধারে কাছে যেতে পারিনি। তার মধ্যে এসব কথা মানে কতগুলো অবান্তর কথা। এটা ইচ্ছে করে বিব্রত করা।’

তদন্ত প্রসঙ্গে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এটা করার কথা, কী প্রসেসে করেছে আমি জানি না। যেহেতু বিষয়টা লাইম লাইটে এসেছে, ধন্যবাদ দেই। তারা নিজেরাই চিন্তা করছে। আমরা স্বাগত জানাই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ফার্নিচারের যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে একদিক দিয়ে বলব আল্লাহ চায় তো ভবিষ্যতে ওখানেও সাবধানতা যাতে অবলম্বন করা হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘গভর্মেন্টের কোনো একটা অঙ্গকে যদি কাজ দেই সেখানে কি আমি পুলিশ বসিয়ে রাখতে পারি?’