কিছু মিডিয়া বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। পুরোনো ছবি : এনটিভি

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, কিছু মিডিয়া বলে থাকে সরকার কৃষকের সাথে নেই। কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কীভাবে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি? তারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ কথা বলছে।

কৃষিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে সার সুপারিশমালা হাতবই ২০১৮-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ধান কাটা ও লাগানোসহ কৃষি কাজে কৃষি শ্রমিক এখন একটা বড় সমস্যা। এর একমাত্র সমাধান কৃষি যান্ত্রিকীকরণ। আমরা যান্ত্রিকীকরণ শুরু করেছি এবং অচিরেই শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ সম্পন্ন করব। কৃষিতে প্রতি বছর নয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি থেকে তিন হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, মিলারদের আমরা জরুরি ভিত্তিতে ধান কেনার জন্য বলেছি। সরকার ১২ লাখ টন ধান ও দুই লাখ টন চাল দ্রুত কিনবে। আমাদের তিন কোটি ৫০ লাখ টন চাল উৎপাদনের বিপরীতে ১০-১২ লাখ টন কিনলে বাজারে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। তবে সীমিত পর্যায়ে রপ্তানিরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে সব সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা বলেছে, কিন্তু কেউ পারেনি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক কৃষির মাধ্যমে। যে নেত্রী খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করতে পারে, সে নেত্রী কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাতেও পারবেন। কৃষকদের কল্যাণে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, অনেক কৃষক পরিমিতভাবে সারের ব্যবহার করেন না। অনেক সময় বেশি, আবার অনেক সময় কম ব্যবহার করে থাকেন। এজন্য সচেতনতা দরকার এবং কৃষকদের প্রশিক্ষিত করা দরকার। কৃষির সব ক্ষেত্রে আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন সারা বছর ধরে ফসল হচ্ছে। এ ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য সার সুপারিশমালা হাতবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিএআরসির চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সার সুপারিশমালা হাতবই ২০১৮-এর ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. শেখ মো. বখতিয়ার।