বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ‘ভুল ইনজেকশন’, জীবন সংকটাপন্ন

Looks like you've blocked notifications!
মঙ্গলবার সকালে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী মরিয়মকে ভুল ইনজেকশন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ছবি : এনটিভি

গোপালগঞ্জে ভুল ইনজেকশন দেওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীর জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নার্সের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ওই ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ওই ছাত্রীর নাম মরিয়ম সুলতানা মুন্নি। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

এ ঘটনা তদন্তে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মরিয়ম সুলতানা মুন্নির পিত্তথলিতে পাথর ধরা পড়ে। এ নিয়ে তিন মাস ধরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তপন মণ্ডলের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মরিয়ম। এরই মধ্যে অস্ত্রোপচার করানোর জন্য গত সোমবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন মরিয়ম। অস্ত্রোপচারের আগে সকাল ৬টার দিকে মরিয়মের শরীরে ভুল ইনজেকশ পুশ করেন নার্স। এর পরই মরিয়মের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে বোর্ড বসিয়ে মরিয়মকে খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠান।

মরিয়মের স্বজনরা বলছেন, আজ সকালে নার্সরা মরিয়মকে ঘুম থেকে উঠিয়েছিলেন। এরপর তাঁকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। ইনজেকশন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মরিয়মের শরীর ঝাঁকি দিয়ে ওঠে। পরে তাঁকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এটি একটি অ্যাক্সিডেন্ট। তদন্ত করে এটি বোঝা যাবে। যেহেতু তিন মাস ধরে ওই ছাত্রীর চিকিৎসা চলছে। এ ব্যাপারে রোগীর বোন ইন্টার্ন ডাক্তার যে আছেন, সেও তো আমার কাছে আসেননি। তবে আজকে রোগীর বাবা কিছু অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। এ অভিযোগের সত্যতা থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

মরিয়মকে কী ধরনের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল জানতে চাইলে ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুনেছি এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক। এটা সঠিক নাও হতে পারে।’ এ ব্যাপারে একেক জন একেক কথা বলছে বলেও জানান তিনি।