বিলুপ্ত ছিটমহলে ভোটার এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু

Looks like you've blocked notifications!

বিলুপ্ত ছিটমহল আছে লালমনিরহাটের এমন তিনটি উপজেলার মধ্যে দুটি উপজেলায় থাকা চারটি ছিটমহলের ভোটার এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী রোববার থেকে এ কাজ শুরু হয়েছে।

পুনর্বিন্যাস শুরু হওয়া বিলুপ্ত ছিটমহলগুলো হচ্ছে হাতীবান্ধার ১৩৫ ও ১৩৬ নম্বর উত্তর গোতামারী এবং সদর উপজেলার ১৫১ নম্বর বাঁশপচাই ও ১৫২ বাঁশপচাই ভিতরকুটি। তবে নির্বাচন কমিশনের গেজেট না হওয়ায় জেলার অপর উপজেলা পাটগ্রামে শুরু হয়নি ভোটার এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ। বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীমর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অংশ হিসেবেই এই পুনর্বিন্যাসের কাজ বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন কার্যালয়।

জানা গেছে, রোববার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল ওই উপজেলায় থাকা বিলুপ্ত ছিটমহল দুটি পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। একইভাবে সদর উপজেলার ছিটমহল দুটিও পরিদর্শনে যায় অপর একটি দল। এই পুনর্বিন্যাসে পুনর্গঠিত সাধারণ ওয়ার্ড-মৌজার বিবরণ ও অন্তর্ভুক্ত বিলুপ্ত ছিটমহলের নাম ও নম্বর তুলে ধরা হবে। গত ৩১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটমহল বিনিময়ের পর নির্বাচন কমিশনের এটাই প্রথম উদ্যোগ বলে জানা গেছে।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, হাতীবান্ধা উপজেলার বিলুপ্ত ১৩৫ নম্বর ও ১৩৬ নম্বর ছিটমহল গোতামারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত হবে। আর সদর উপজেলার বিলুপ্ত ১৫১ বাঁশপচাই ও ১৫২ বাঁশপচাই ভিতরকুটি ছিটমহল কুলাঘাট ইউনিয়নের ১ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের গেজেট না হওয়ায় পাটগ্রাম উপজেলার ৫৫টি ছিটমহলের মধ্যে জনবসতিপূর্ণ ৩৮টি ছিটমহলের ভোটার এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ এখনো শুরু হয়নি। গেজেট প্রকাশ করলে পর্যায়ক্রমে সেখানে নির্বাচনী এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জানান, পুনর্বিন্যাসের পর বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর জন্য নতুন ভোটার এলাকা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী লালমনিরহাট সদর ও হাতীবান্ধা উপজেলার চারটি বিলুপ্ত ছিটমহলে ভোটার এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সেখানকার বাসিন্দাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।