অন্ধ হয়ে সরকারের সমালোচনা করবেন না : তথ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সমালোচকদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা সমালোচনা করেন, কিন্তু অন্ধ হয়ে সমালোচনা করবেন না। আমরা সমালোচনা চাই, কিন্তু তা হতে হবে গঠনমূলক।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দেশের বরেণ্য সংগীত শিল্পী সুবীর নন্দী স্মরণে ওই আলোচনার সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এক শ্রেণির মানুষ আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু সংবাদপত্র মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এগুলো আগেও হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধেও জাল পরে বাসন্তীর ছবি তুলে পত্রিকায় ছেপে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বাসন্তী ছিল জ্ঞান-বুদ্ধিহীন। এ কারণে তাঁকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়। তিনি বলেন, এ ধরনের ছবি যখন তোলা হয়েছিল তখন একটি কাপড়ের চেয়ে জালের দাম অনেক বেশি ছিল।

মন্ত্রী বলেন, ধানের দাম নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছিল। সরকার এক সপ্তাহের মধ্যে তা ঠিক করে দিয়েছে। তারপরও কিছু লোক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।

ধানক্ষেতে আগুন দেওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে ক্ষেতের এক কোনায় আগুন দিয়ে তা ভিডিও করে এবং ছবি তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার ভারতের ধান ক্ষেতের একটি আগুনের ঘটনাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লিচু কিনে দিতে পারেনি বলে এক লোক তাঁর দুই সন্তানকে হত্যা করেছে। আসলে ওই বাবা ছিলেন মানসিক রোগী। অথচ খবরগুলো এমনভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে যেন সব দায় সরকারের ওপর পড়ে।

এ ধরনের উদ্ভট সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যেসব ঘটনা ছড়ানো হয় সেগুলো এডিট করা হয় না। যেকেউ, যে কারো মতো করে মতামত দিচ্ছে। অনেকে ভুল তথ্যও দিচ্ছে। এগুলো সবই করছে ষড়যন্ত্রকারীরা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে উন্নয়নের সূচক যখন পাকিস্তান এবং ভারত থেকে এগিয়ে তখন সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী এবং দেশপ্রেমিক জনতাকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সুবীর নন্দীদের মৃত্যু নেই। তিনি আছেন বাঙালির হৃদয়ে। বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। প্রতিটি মানুষের মণিকোটায় তিনি স্থান করে নিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্নেহ করতেন এবং ভালোবাসতেন। সুবীর নন্দী আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে-দুর্দিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, খ্যাতিমান অভিনেত্রী ও সাবেক সাংসদ সারাহ বেগম কবরী। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, জোটের সহসভাপতি সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, যুগ্ম সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান, সুবির নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী, কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল, কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল চৌধুরী, আবদুল মতিন প্রধান, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, আওয়ামী লীগ নেতা মোতাছিম বিল্লাহ ও বৃষ্টি রাণী সরকার।