ঢাকা প্রায় ফাঁকা, শেষ কর্মদিবস শেষে বাড়ির পথে মানুষের ঢল

Looks like you've blocked notifications!
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। ছবি : ফোকাস বাংলা

বুধবার ঈদ হলে হাতে শুধু মঙ্গলবার। প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তাই সোমবার শেষ কর্মদিবস শেষে রাজধানী ছাড়ছেন কর্মসূত্রে এখানে থাকা মানুষজন।

ঘরমুখো মানুষের এ স্রোতে সারাদেশের মহাসড়কগুলোতে তেমন কোনো যানজটের খবর পাওয়া না গেলেও ট্রেন যাত্রায় টানা চতুর্থ দিনেও সময়মতো ছেড়ে যেতে পারেনি বেশকিছু ট্রেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা।

সোমবার সকাল থেকেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

অতিরিক্তি যাত্রীদের সেবা দিতে হিমশিম খাওয়া পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ঘরমুখো মানুষের স্রোত অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, ঈদ উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষ রাজধানী ত্যাগ করায় ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে ব্যস্ততম এ নগরী, কমতে শুরু করেছে চিরচেনা যানজট।

কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা অনেককেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠতে দেখা যায়।

কর্তপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজধানী ছেড়ে যাওয়া ২২টি ট্রেনের মধ্যে ৬টি সময়মতো ছেড়ে যেতে পারেনি।

কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক জানান, সুন্দরবন, নীলসাগর, রংপুর, লালমনি স্পেশাল, চট্টলা ও রাজশাহী এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের ২-৫ ঘণ্টা পর ছেড়ে গেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য মতে, সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাবে।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় পাওয়া গেছে। লঞ্চের কেবিন, ডেক, ছাদ ও সিঁড়ি থেকে শুরু করে যে যেখানে ফাঁকা জায়াগা পেয়েছেন সেখানেই বসে পড়েছেন। তবে লঞ্চ পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে অনেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগে করেছেন।

বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির (এনসিপিএসআরআর) সাধারণ সম্পাদক আশিষ কুমার দে বলেন, রেল, নৌ ও সড়কপথে প্রায় ১৫-১৬ লাখ মানুষ রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ সড়ক পথে, ২৫ শতাংশ নৌপথে এবং ২০ শতাংশ ট্রেনে করে ফিরছেন।

হাইওয়ে (গাজীপুর) পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বিকাল পর্যন্ত দেশের মহসড়াকে কোনো রকম যানজট ছাড়াই যানবাহন চলাচল করেছে।