এএসআই ইব্রাহীম প্রাণ দিয়ে সাবধান করে গেছেন
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য নিজে প্রাণ দিয়ে বড় ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের সাবধান করে গেছেন এবং সেটি ঘটতে দেননি। এটি আমাদের বলে দিচ্ছে আমাদের পুলিশ বাহিনী তাঁদের ভূমিকা পালন করতে সচেষ্ট।’
রাজধানীর গাবতলীতে নিহত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহীম মোল্লার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার পালপাড়ায় গিয়ে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আজ সোমবার তিনি নিহত ইব্রাহীমের বাড়িতে যান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদের বিচার হয়েছে এবং যাদের দণ্ড কার্যকর করা প্রায় আসন্ন, এ রকম একটি সময় বেছে নেওয়া হয়েছে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করার জন্য। এ দুটোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখলে হবে না। আমার কাছে মনে হয় এগুলোর মধ্যে অন্তর্নিহিত সম্পর্ক আছে। সে কারণেই সরকারকে আরো বেশি সজাগ হতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কোনো রকম কাল বিলম্ব এবং এখানে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই।’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যত বেশি সময় অতিবাহিত করা হবে আমাদের শত্রুদের তত বেশি সময় দেওয়া হবে এ রাষ্ট্র এবং জনগণের বিরুদ্ধে এ সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, আরো অপপ্রয়াস চালানোর। সে সুবিধা যেন তারা গ্রহণ করতে না পারে। সে সুযোগটা যেন তারা না নিতে পারে, এ জন্য আমার মনে হয় বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হওয়াটি বাঞ্ছনীয়।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে ভূমিকা পালন করছে আমরা বুঝতে পারছি যে ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে সম্প্রতি তাঁদের আরো বেশি সজাগ থাকতে হবে। যারা এর পেছনে আছে তাদের যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় নিয়ে এসে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অতিরিক্ত জেলা জজ) মো. শরীফ উদ্দিন, উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুজিবর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে দারুস সালাম থানার এএসআই ইব্রাহীম মোল্লা রাজধানীর গাবতলীর পর্বত সিনেমা হলের সামনে তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন।