৭ মাস প্রেমের পর ডেকে নিয়ে ধর্ষণ!

Looks like you've blocked notifications!

সাত মাস ধরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রনি মিয়া (২০) নামের এক যুবকের। গত বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীকে মোবাইল ফোনে একটি স্কুলে ডেকে নিয়ে যান রনি। অভিযোগ উঠেছে, নিজের সঙ্গীদের সাহায্য নিয়ে ওই কিশোরীকে আটকে ধর্ষণ করেছেন তিনি।      

রনি শহরের পঞ্চবটি এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে প্রেমিক রনি মিয়াসহ তার অপর তিন সহযোগী ইমন মিয়া (২২), নূর মোহাম্মদ (২১) ও আশিক  মিয়ার (২০) বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আজ শনিবার দুপুরে মামলার আসামি আশিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে হাজতে পাঠান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রনির সঙ্গে ওই কিশোরীর সাত মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রনি শহরের একটি স্কুলের সামনে যেতে বলে ওই কিশোরীটিকে। ওই কিশোরী তার এক খালাকে নিয়ে রনির সঙ্গে দেখা করতে যায়।  

কিশোরী ওই স্কুলে যাওয়ার পর ওই স্কুলের পিয়ন রনির বন্ধু ইমন মিয়া এবং অপর দুই সহযোগী নূর মোহাম্মদ ও আশিক মিয়া কিশোরী ও রনিকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে দেয় আর ওই কিশোরীর খালাকে স্কুল থেকে বের করে ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

অতিরিক্ত রক্তপাতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় প্রেমিক রনি সহযোগী ইমন, নূর মোহাম্মদ ও আশিকের সহযোগিতায় কিশোরীর এক বান্ধবীর বাসায় তাকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান কিশোরীর মা।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামল কান্তিনাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষিতাকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভৈরব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনার পরের দিন শুক্রবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রনিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আজ শনিবার মামলার ৪নং অভিযুক্ত আসামি আশিককে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে হাজতে প্রেরণ করেন। প্রধান আসামি রনি মিয়াসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।