এমপি লিটন হত্যা : অস্ত্র মামলায় সাবেক এমপির যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আবদুল কাদের খানকে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অস্ত্র মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এ মামলায় পৃথক এক ধারায় তাঁকে ১৫ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক আজ মঙ্গলবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ড পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. আবদুল কাদের খান গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। তাঁর বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খানপাড়া) গ্রামে। তিনি লিটন হত্যা মামলারও আসামি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) শফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধ অস্ত্র রাখায় আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন ও অবৈধ গোলাবারুদ মজুত রাখায় ১৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এমপি লিটন হত্যায় তিনটি অস্ত্র ব্যবহার হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র কাদের খান নিজে থানায় জমা দিয়েছেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি গ্রামে আবদুল কাদের খানের বাড়ির উঠানের মাটির নিচ থেকে ছয়টি গুলিসহ আরেকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কাদেরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তৃতীয় অস্ত্রটির সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটনকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় তাঁর নিজের বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় চার-পাঁচজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

ঘটনার এক মাস ২১ দিন পর বগুড়া শহরের কাদের খানের স্ত্রীর মালিকানাধীন গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর কয়েক দফা তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। প্রথম রিমান্ডে থাকা অবস্থার চতুর্থ দিনের মাথায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লিটন হত্যার দায় স্বীকার করেন আবদুল কাদের খান।

কাদেরের দেওয়া তথ্যে ছয় রাউন্ড গুলি ও ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ কাদের খানের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং গত ৬ এপ্রিল তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

এ ছাড়া এ মামলায় মেহেদি, শাহীন, রানা ও কাদেরের ব্যক্তিগত গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার পুলিশ করে। তাঁরাও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া পুলিশ এ হত্যায় কাদেরের কথিত সহযোগী সুবল চন্দ্র ও সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী শামছুজ্জোহা সরকার জোহাকেও গ্রেপ্তার করে।