শেরপুরে গৃহবধূ নির্যাতন, নকলা থানার এসআই প্রত্যাহার
শেরপুরের নকলায় গাছে বেঁধে গৃহবধুকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নকলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে জেলা পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ ও এসআই ওমর ফারুককে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম ডলি খানম (২২)। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত ১০ মে নকলার কয়দা গ্রামে চন্দ্রকোনা কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী ডলিকে নির্যাতন করা হয়। পরে আহত ডলিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর গর্ভপাত ঘটে। নির্যাতনের ফেলেই ডলির গর্ভপাত হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় জেলাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. আক্কাছ উদ্দিন ভুঁইয়া গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নকলার কায়দা এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি নির্যাতিতা গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীসহ স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূইয়া, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং আসামিদের বাইরে আরও কারো মদদ থাকলে তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভুঁইয়ার পরিদর্শনের সময় শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান, জেলা মহিলা পরিষদ সভানেত্রী জয়শ্রী দাস লক্ষ্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় একমাস আগে গত ১০ মে এ ঘটনা ঘটলেও নির্যাতিতার স্বামী ছফিউল্লাহ গত ৩ জুন শেরপুরের আমলি আদালতে তার সহোদর ভাই আবু সালেহসহ পাঁচজনের নামসহ অজ্ঞাত ৫-৭ জনকে আসামি করে একটি নালিশি মামলা করেন। এ মামলায় গত বুধবার নাসিমা আক্তার নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অপর দিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী শফিউল্লাহর দায়ের করা নালিশি মামলার বিষয়েও ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন জামালপুর পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুজ্জামান।