‘কৃষিশ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, জীবনযাত্রার মান বেড়েছে’

Looks like you've blocked notifications!
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। পুরোনো ছবি

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বের অর্থনীবিদদের অনুমান মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। এখন দরকার জনগণের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিমানের খাবার।’

আজ রোববার ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষির জন্য টাকা কোনো সমস্যা হবে না। নয় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দরকার হলে আরো টাকা দেওয়া হবে, আরো কমানো হবে সারের দাম। কৃষি উন্নয়নে যা যা করণীয় তা-ই করা হবে। আমরা কৃষি পণ্য রপ্তানিতে শতকরা ২০ ভাগ ভর্তূকি দিচ্ছি। চাল আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে। আমাদের জমি কম ও অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও আমাদের উৎপাদন বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া। এজন্য পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির যেখানে ১৩ হাজার কোটি টাকা ছিল, সেখানে চলতি বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।’

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এ ছাড়া শ্রমিকের দামও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। আগে দু-এক বেলা ভাত খেয়ে কাজ করে দিত। এখন কৃষিশ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এর অর্থ হলো মানুষের জীবনযাত্রার মান ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। আমাদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে যেতে হবে। কৃষিতে বরাদ্দের অতিরিক্ত তিন হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে। আমাদের জমিগুলো আকার ছোট। তাই আমাদের দেশীয় উপযোগী যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করতে হবে। অথবা বিদেশ থেকে আমদানি করার সময় বিষয়টি চিন্তা করতে হবে।’

ফল মেলার বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ফল উৎপাদনে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। অনেক ফল আছে যেগুলো সারা বছর ধরে চাষ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ফলও চাষ হচ্ছে। আমাদের দেশের আম বিদেশিরা খেয়ে বলে খুবই সুস্বাদু।’

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, মো. মলি নুরুল আলম, মদন গোপাল সাহা। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এম এনামুল হক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান।