আটকে গেল সাবেক এমপি রানার জামিন
দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ওই দিন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের স্থগিত আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এই আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় রানাকে স্থায়ী জামিন দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে এই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ৬ মার্চ দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে রুল ঘোষণা করেন আদালত।
২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হয়ে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া জাহিদ, শাহাদত ও হিরণ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তাঁরা সাবেক এমপি রানার দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি।