নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অর্থায়ন ও যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত

Looks like you've blocked notifications!
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে নেপাল বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। ছবি : এনটিভি

নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা ও বাংলাদেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নেপালের বিদ্যুৎ খাতে অংশগ্রহণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং নেপালের বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব দিনেশ কুমার ঘিমি নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা ও বাংলাদেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নেপালের বিদ্যুৎখাতে অংশগ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। নেপাল সরকার সে দেশে সম্ভাব্য ২০টি জল বিদ্যুৎ প্রকল্প চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কোন কোন প্রকল্পে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে উভয় দেশ।

বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, নেপালের প্রচুর জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে। আমরা যদি তার কিছু বাংলাদেশে আনতে পারি তাহলে আমাদের চাহিদা মেটাতে পারব।  

সঞ্চালন লাইনের অংশ বিশেষ ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে নির্মিত হবে বিধায় বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।

যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভা শেষে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং নেপালের বিদ্যুৎ-পানিসম্পদ ও সেচ সচিব দিনেশ কুমার ঘিমি নিজ নিজ দেশের পক্ষে যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষর করেন।

এর আগে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা শেষে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন ও নেপালের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব প্রবীণ রাজ আরিয়াল ওয়ার্কিং গ্রুপের সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষর করেন।

গত বছর ডিসেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সভা হয়।