ভৈরব চেম্বার নির্বাচনে হুমায়ূন কবীর সভাপতি নির্বাচিত
কিশোরগঞ্জের ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দ্বি-বার্ষিক (২০১৯-২০২১) নির্বাচনে সভাপতি পদে আলহাজ মো. হুমায়ূন কবীর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৮৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সভাপতি আলহাজ আবদুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ৫৭৩ ভোট। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজ আহমেদ মারুকী শাহীন পেয়েছেন ১২৭ ভোট। তিনি বর্তমান কমিটির সহসভাপতি।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে হাজি মোশারফ হোসেন ১ হাজার ৭৬ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতাউর রহমান কামাল পেয়েছেন ২০৫ ভোট। সহসভাপতি পদে জাহিদুল হক জাবেদ ৬৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু কাউছার খন্দকার পেয়েছেন ২৯১ ভোট। অপর দুই প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ২৪৬ ও মনির হোসেন পেয়েছেন ৭৫ ভোট।
এদিকে নির্বাচনে পরিচালক পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এঁরা হলেন মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী (১০৫৭ ভোট), তারেক আহমেদ ভূঁইয়া (১০৩৮ ভোট), সৈকত আহমেদ জেমস (১০৩৫ ভোট), কাজী মাসউদ উর রহমান (১০৩৪ ভোট), আনোয়ার হোসেন ইমরান (১০৩৩ ভোট), হাজি মো. সাজ্জাদ হোসেন মামুন (১০২৩ ভোট), মো. নিজাম উদ্দিন সরকার (৯৮৮ ভোট), মো. হোসেন আলী (৯৭২ ভোট), রাকিব হাসান রকি (৯৬৯ ভোট), হাজি মো. এমরান মোল্লা তুহিন (৯৬৮ ভোট), মো. দেলোয়ার হোসেন (৯৬২ ভোট), মো. সোহেল মিয়া (৯৫৮ ভোট), হাজি মো. আলাল উদ্দিন (৯৫২) ও মোবারক হোসেন (৯৩১ ভোট) ।
এ ছাড়া সহযোগী সদস্যদের মধ্য থেকে চারজন পরিচালক বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এঁরা হলেন মো. সুজন মিয়া, নিজাম মাহমুদ জুয়েল, মো. আবদুর রশিদ ও মো. আক্তারুজ্জামান।
ভৈরব চেম্বারের ১ হাজার ৩১৮ জন সাধারণ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ২৮৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।
চলতি (২০১৯-২০২১) নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য অধ্যাপক জিতেন্দ্র চন্দ্র দাশকে প্রধান এবং সিনিয়র শিক্ষক মো. আলকাছ মিয়া ও সিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়াকে সদস্য করে তিন সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।
গত ২২ মে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি, পরিচালক ও সহযোগী পরিচালক পদে মোট ৩০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। শহরের জামে মসজিদ রোডস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এই মনোনয়নপত্র জমা অনুষ্ঠিত হয়।
২৩ মে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। ওই তারিখে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়নি। মনোনয়নপত্র বাতিল সম্পর্কে আপিল বোর্ডের কাছে আপিল দাখিলের তারিখ ও নিষ্পত্তির তারিখ ছিল ২৮ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। বৈধ মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় ২৯ মে বেলা ১১টায়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ নির্ধারিত ছিল ৩১ মে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ওই তারিখে কোনো প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় ৩০ জনই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচন শেষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান অধ্যাপক জিতেন্দ্র চন্দ্র দাশ সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, একটি উৎসবমুখর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নদীবন্দর এবং বাণিজ্যকেন্দ্র ভৈরবের ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের ভোটাধিকারের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিতে পারেন, সেইজন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে। তিনি একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনায় সার্বিক সহায়তার জন্য স্থানীয় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীসহ ভৈরববাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।