রামপাল রূপপুর মাতারবাড়ি প্রকল্পে দায়মুক্তি আইন বাতিলের দাবি

Looks like you've blocked notifications!
শনিবার বাজেট পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য দেন তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ছবি : এনটিভি

রামপাল, রূপপুর, মাতারবাড়ি, বাঁশখালী, বরগুনাসহ জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতের সব প্রকল্পের দায়মুক্তি অাইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। এসব প্রকল্পকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী এবং প্রাণ প্রকৃতিবিনাশী বলে উল্লেখ করেছেন কমিটির নেতারা।

শনিবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের প্রগতি মিলনায়তনে রামপাল রূপপুর ও বাজেট ২০১৯-২০ বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন নেতারা।

লিখিত বক্তব্যে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, রামপাল রূপপুর মাতারবাড়ি এসব প্রকল্প উন্নয়ন নয়, ধ্বংসের প্রকল্প। এসব প্রকল্পে দুর্নীতি লুটপাটের দায়মুক্তি আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

আনু মুহাম্মদ বলেন, এসব প্রকল্পে দুর্নীতি লুটপাটের দায়মুক্তি আইনের কারণে মানুষ ঋণের বোঝা বহন করবে, সমস্ত বিপদের মধ্যে পড়বে কিন্তু এইসব কোম্পানি তাদের লাভ নিশ্চিত করতে পারবে।

বাজেটে এসব প্রকল্পে জনগণের অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় কমিটির নেতারা। সরকারি নীতিমালায় জনস্বার্থে পরিবর্তন আনার জন্য ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে পর্যালোচনা সভা থেকে।

জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই প্রকল্পের নির্মাণে ১৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে প্রকল্পটিতে বরাদ্দ রয়েছে ১১ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। এদিকে মহেশখালীর মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ছাপান্ন কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে প্রকল্পটিতে বরাদ্দ আছে ২ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা।

আনু মুহাম্মদ বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অস্বাভাবিক খরচের বিষয়টি ইতিমধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জানি, ২০১০ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা। গত ৯ বছরে এই খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা, যা বাংলাদেশের মোট বাজেটের ৫ ভাগের এক ভাগ। রুপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজে ফিক্সড কস্ট মডেলের পরিবর্তে নির্মাণ চুক্তি হয়েছে ‘কস্ট প্লাস’ মডেলে। এর ফলে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রোসাটমের পক্ষে খরচের অঙ্ক দফায় দফায় বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।